পূর্বঘোষণা অনুসারে রবিবার শেষ হওয়ার কথা তাইওয়ানের আশপাশে চলমান চীনের নজিরবিহীন সামরিক মহড়া। তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ মহড়াটি শেষ হওয়ার আগেই এসেছে পীত সাগরে মহড়ার ঘোষণা, যা চলবে সোমবার পর্যন্ত।
চলমান মহড়াটি শেষ হওয়ার আগে জলপথে তাইওয়ান ও চীনের রণতরীকে রবিবার দেখা গেছে সতর্ক ভূমিকায়। দুই পক্ষেরই প্রায় ১০টি করে রণতরী তাইওয়ান প্রণালীর খুব কাছ দিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।
কিছু চীনা রণতরী এদিনও মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে স্বশাসিত ভূখণ্ডটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, চীনের নৌযান, আকাশযান এবং ড্রোন দ্বীপের ওপর আক্রমণের মহড়া চালাচ্ছে।
মন্ত্রণালয়টি আরো জানায়, তারা যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাতে যুদ্ধবিমান ও রণতরী পাঠিয়েছে।
মহড়া আদৌ শেষ হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে রবিবার চীনের কাছ থেকে কোনো ঘোষণা আসেনি। তাইওয়ানও জানিয়েছে, মহড়া শেষ হয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে তাইপে আকাশপথের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। মহড়ার জন্য পাঠানো নির্দেশনা আর কার্যকর হবে না বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
চীনের দাবি, তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণের অধীন নিয়ে আসার অধিকার রয়েছে তাদের।
তবে তাইওয়ানের দাবি, শুধু তাইওয়ানি জনসাধারণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা রাখে।
তাইওয়ান ১৯৪৯ সাল থেকে স্বশাসিত ভূখণ্ড। সে সময় মাও জেদংয়ের কমিউনিস্টরা এক গৃহযুদ্ধে চিয়াং কাই-শেকের কুয়োমিনতাং দলের জাতীয়তাবাদীদের হারিয়ে বেইজিংয়ের ক্ষমতা গ্রহণ করে। জাতীয়তাবাদীরা পরে আশ্রয় নেয় তাইওয়ানে।
ফিলিপাইনে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের কাছ থেকে চীনের কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট উদ্বেগ শুনেছে। কিন্তু পরিস্থিতিকে প্রতিকূলে না নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স