Sunday, May 26, 2024
spot_img
Homeবিনোদনশেষ বয়সে এসে চলচ্চিত্রে বিভাজন দেখতে চাই না -আনোয়ারা

শেষ বয়সে এসে চলচ্চিত্রে বিভাজন দেখতে চাই না -আনোয়ারা

বাংলা সিনেমায় মমতাময়ী মায়ের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন আনোয়ারা। এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদ পরিষদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিতে প্যানেল পরিচিত অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। সব মিলিয়ে কেমন আছেন তিনি? আনোয়ারা বলেন, আল্লাহপাক ভালোই রেখেছেন। মাঝখানে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছি। বিশেষ করে আমার প্রয়াত স্বামী দীর্ঘদিন বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। তার সেবা করেই সময় চলে যেতো। আর বিশেষ করে মহামারির কারণে একদমই বাড়ির বাইরে যেতাম না।

বয়স হয়েছে ঝুঁকিও বেশি, তাই নিয়ম করেই চলেছি। আর দীর্ঘদিন অভিনয়ের তেমন ব্যস্ততা নেই তাই মনটাও ছটফট করতো। খুব মনে পড়তো সমসাময়িক আমাদের সহশিল্পীদের কথা। অনেকটা স্মৃতিকাতরতা পেয়ে বসেছিল। আর্থিক বিষয়টাও অনেকটা ভুগিয়েছে আমাকে করোনার সময়টাতে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তো মিশা-জায়েদের প্যানেলকে সমর্থন দিচ্ছেন? এ অভিনেত্রী বলেন, অন্য প্যানেলের শিল্পী ভাইবোনদের প্রতিও আমার দোয়া সর্বদা থাকবে। সমিতির নির্বাচনতো সাংগঠনিক প্রক্রিয়া মাত্র।

২৮ জানুয়ারি আমাদের শিল্পী পরিবারের মিলনমেলা হবে বলেই মনে করি। তবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচনী সঙ্গীতের কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি। সেটি হলো ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’। সত্যিই কি বিগত দিনে আমাদের যেসব সম্মানিত মুরুব্বি শিল্পীরা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পদ অলংকৃত করেছিলেন উনারা টাকার বিনিময়ে ভোট কিনেছিলেন? আমরা এমন কোনো আচরন করবো না যাতে জাতির কাছে শিল্পী হিসেবে আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায়। ২৮ তারিখ তো একটি দিন মাত্র।

সময়ও মাত্র সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচন যে প্যানেলের পক্ষেই যাক না কেন বেলা শেষে সব শিল্পী এই ছায়াতলে দাঁড়াবো। সেখানে পক্ষ-বিপক্ষ নেই। একই সূত্রে গাঁথা। জায়েদের বিষয়ে একটা কথা না বললেই নয়। সে মানবিক মনের একজন মানুষ। করোনায় তার ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। শুধু জায়েদ না মিশা-জায়েদ উভয়ই অংশীদার। করোনাকালীন নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে শিল্পীদের বিপদে যেভাবে এগিয়ে এসেছে আল্লাহ তাদের নেক হায়াত দান করুক। আনোয়ারা আরো বলেন, কাঞ্চন আর নিপুণও আমার সন্তানের মতো। সবারই অধিকার রয়েছে নির্বাচন করার।

এখন ভোটাররা যাকে পছন্দ করবে ভোট দেবে। আমরা কেউ কারও শত্রু নই। আমি আমার ভালো লাগা প্রকাশ করেছি। করোনার সময় এই চলচ্চিত্রের অনেক নামি-দামি বিত্তশালী ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু কোনোদিন আমার খোঁজ নেননি। তাতে আমার অভিমান নেই। কিন্তু মিশা-জায়েদেরা দুনিয়া এবং আখেরাতেও দোয়া পাবে। শেষ বয়সে এসে চলচ্চিত্রে বিভাজন দেখতে চাই না।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments