Sunday, May 19, 2024
spot_img
Homeবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিএকটি যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ হওয়ার পর কী ঘটে?

একটি যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ হওয়ার পর কী ঘটে?

সম্প্রতি কথা উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে চীনের অ্যাপ ‘টিকটক’। রাজনৈতিক সংঘাতের সূত্র ধরে ২০২০ সালে ভারতেও নিষিদ্ধ হয় অ্যাপটি। নিষিদ্ধ হওয়ার পর ব্যবহারকারীদের মধ্যে কী প্রভাব পড়েছিল? সেটাই ফিরে দেখার চেষ্টা করেছেন টি এইচ মাহির

ভারত-চীন সীমান্তে সংঘর্ষের পর ২০২০ সালের ২৯ জুন ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয় খুদে ভিডিওর প্ল্যাটফরম ‘টিকটক’ নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। আর নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারতে রাতারাতি এই অ্যাপ গায়েব হয়ে যায়।

যদিও ভারতীয় টিকটক অ্যাকাউন্টগুলো অনলাইনে ছিল এবং ভিডিওগুলো তখনো টিকটক প্ল্যাটফরমে ছিল। কিন্তু ভারতীয়রা সেসব দেখতে পারছিল না। মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র সমালোচক সুচরিতা ত্যাগী ছিলেন একজন টিকটকার। তাঁর অনুসারী তখন ছিল ১১ হাজারের মতো।
ভিডিওতে লাখ লাখ ভিউ ছিল। তিনি বলেন, “এখানকার লোকজন নিজেদের জীবনযাপন সম্পর্কে ভিডিও বানাচ্ছিল টিকটকে। অসংখ্য মানুষ টিকটকের কারণে ‘ভাইরাল’ বা পরিচিত হয়ে ওঠে বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে। টিকটকের অ্যালগরিদমের কারণে গ্রামীণ ভারতীয়রা সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসে পৌঁছাচ্ছিল।
প্রযুক্তি লেখক প্রশান্ত কে রায় বলেন, ‘টিকটক কনটেন্ট তৈরিতে গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠে। কেননা এখানে আর্থিকভাবে দরিদ্র শ্রেণির মানুষও ভিডিও তৈরি করতে পারছিল। সেসব ভিডিও আবার লাখ লাখ ভিউও হচ্ছিল।’ গীত নামের আরেক ইনফ্লুয়েন্সার টিকটকে ‘আমেরিকান ইংরেজি’ শেখানো এবং জীবনোপদেশ দেওয়ার মাধ্যমে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলেন। টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর তিনটি অ্যাকাউন্টে অনুসারী ছিল এক কোটি; যদিও চার বছর পর ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে তাঁর অনুসারী প্রায় পাঁচ মিলিয়ন।

ভারতে শুধু যে টিকটক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা নয়, সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারতে আরো ৫৪টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। ভারত টিকটক নিষিদ্ধ করার পর পাকিস্তানও ২০২০ সাল থেকে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। আবার নেপাল ২০২৩ সালে টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা নিয়ে সবচেয়ে বেশি তোলপাড় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকবার চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশটিতে আছে ১৭ কোটির বেশি টিকটক ব্যবহারকারী, যা সে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। লোকজন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অসংখ্য ছোট নির্মাতা এবং ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতারা। যদিও দেশটির অর্ধেক মানুষ এই দাবির বিরুদ্ধে। ভারতের মতো জনবহুল দেশে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০২০ সালের আগস্টে ইনস্টাগ্রাম ‘রিলস’ নামে একটি সংক্ষিপ্ত ফর্ম ভিডিও ফিড চালু করেছিল। ইউটিউবও ‘শর্টস’ নামে টিকটকের মতোই ভিডিও চালু করে। কিন্তু ভারতে টিকটক নিষিদ্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে ইনস্টাগ্রামের।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments