Sunday, May 19, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAইরানের ছোড়া কত ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের ছোড়া কত ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

চিরশত্রু ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রথমবারের মতো সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইরান। আকাশপথে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে চালানো এই হামলা অনেকাংশেই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল।

এই কাজে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার সময় ইরান ও ইয়েমেনের ৮৬টি ড্রোন এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে মার্কিন বাহিনী। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সোমবার বলেছে, ইউএস ইউরোপীয় কমান্ড ডেস্ট্রয়ারদের সমর্থন নিয়ে মার্কিন বাহিনী শনিবার এবং রোববার ইরান ও ইয়েমেন থেকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা ৮০টিরও বেশি একমুখী আক্রমণকারী ড্রোন এবং অন্তত ছয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সেন্টকম বলেছে, এর মধ্যে লঞ্চার গাড়িতে থাকা একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় উৎক্ষেপণের আগে মাটিতেই ধ্বংস করে দেওয়া সাতটি ইউএভি-ও রয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।

মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরাইলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্রই ভূপাতিত করেছে ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রবাহিনী।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, ইরানের এই বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাকে সহায়তা করার জন্য সেন্টকম অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাড়াতে আমাদের সমস্ত আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments