Friday, April 26, 2024
spot_img
Homeধর্মইংলিশ ফুটবলে রোজাদারদের জন্য ‘বিশেষ নির্দেশনা’

ইংলিশ ফুটবলে রোজাদারদের জন্য ‘বিশেষ নির্দেশনা’

রমজান মাস উপলক্ষ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং ইংলিশ ফুটবল লিগের জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এফএ। এর মধ্যে রয়েছে খেলা চলাকালে খেলোয়াড়দের বিরতি দেয়াসহ রেফারিদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা।

এর অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রত্যেক ম্যাচের সময় রোজা রাখা মুসলিম ফুটবলার এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ বিরতি দেবেন রেফারিরা। এর আগে ফুটবলাররা নিজে থেকে বিরতি বা ইফতারের সময় খুঁজে নিতেন। কিন্তু এবার রমজান শুরুর আগেই এফএ’র বিশেষ চার্টারে সবগুলো ক্লাব সম্মত হয়েছে। এর ফলে রোজা রাখবেন যেসব মুসলিম ফুটবলার ইফতারের সময় তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিরতি দেয়া হবে।

এর আগে ২০২১ সালে ‘মুসলিম অ্যাথলিট চার্টার’ নামে একটি সনদে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানিয়েছিল কয়েকটি ক্লাব। ওই চার্টারটি সকল মুসলিম অ্যাথলিটদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার এফএ’র নতুন নির্দেশনায় বিষয়টি এখন থেকে সব ফুটবল ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য হবে।

রেফারিদের দেয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ম্যাচ শুরুর আগেই কোন কোন ফুটবলার রোজা রেখেছেন তাদের সাথে কথা বলে নিতে। এরপর ম্যাচ চলাকালে একটা আনুমানিক সময় বাছাই করতে, যখন একটি বিরতি দেয়া হবে এবং ওই সময়ে তারা রোজা শেষে ইফতার করতে পারবেন। রেফারিদের বলা হয়েছে, বিরতিতে রোজাদার ফুটবলাররা তরল, এনার্জি জেল কিংবা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন, যাতে রোজা রাখার পরেও শরীরে যথেষ্ট শক্তি থাকে এবং ধর্মীয় রীতিও পালন করতে পারেন একজন ফুটবলার।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফুটবলার ইসলাম ধর্মের অনুসারী। লিভারপুলের মোহামেদ সালাহ, চেলসির এনগোলো কান্দে, ম্যানচেস্টার সিটির রিয়াদ মাহারেজরা রোজা রাখেন বলে জানা গেছে। মাঠে এই ফুটবলারদের নানা ধরণের ধর্মীয় আচার পালন করতে দেখা যায়। বিশেষত খেলা শুরুর আগে দোয়া করা কিংবা গোল দেয়ার পর তা নিয়ে আনন্দ প্রকাশের সময়।

দুই হাজার একুশ সালে করা মুসলিম চার্টারে সব মিলিয়ে ১০টি পয়েন্ট ছিল, যার মধ্যে অ্যালকোহল পরিহার এমনকি কোন উদযাপনের সময়েও, প্রার্থনার জন্য উপযোগী স্থানের ব্যবস্থা করা, হালাল খাবার এবং রমজান মাসে রোজা রাখার অনুমতি দেয়া। সেসব পয়েন্ট এখনো বলবৎ আছে।

অলাভজনক সংস্থা নুজুম স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এবাদুর রহমান বিবিসি স্পোর্টকে সেসময় বলেছিলেন, “আমি খেলাধুলার জগতে কাজ করার সুবাদে জানি যে এখানে আমার ধর্ম মেনে চলা কতটা কঠিন।” “খেলোয়াড় ও ক্লাবগুলোর সাথে কথা বলে আমরা এটা অনুভব করেছি যে যুক্তরাজ্যে একটি মুসলিম অ্যাথলিট চার্টার চালু করার এটাই সঠিক সময়। আমরা বিশ্বাস করি এটাই প্রথম এবং এর মতো কিছু আগে হয়নি,” তিনি বলেন। রহমান ওই চার্টারকে সংহতি, সমতা এবং নিজেদের ক্লাব ও টিমে মুসলমান খেলোয়াড়রা যে অবদান রাখছে তাকে স্বীকৃতি দেয়ার ইতিবাচক আন্দোলন বলে বর্ণনা করেছিলেন।

তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এর আগেও ইফতার করার জন্য বিরতি দেয়া হয়েছিল। দুই হাজার একুশ সালে লেস্টার সিটি এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের মধ্যকার একটি ম্যাচে রেফারি গ্রাহাম স্কট বিরতি দিয়েছিলেন, সেই ম্যাচে ওয়েসলি ফোফানা এবং শেইখো কোয়াটে সূর্য ডোবার সময় রোজা ভেঙ্গেছিলেন। সেসময় ফোফানা টুইট করে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের গোলকিপার ভিসেন্তে গুয়াইতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, এই গোলকিপার গোলকিকের সময় মুসলমান ফুটবলারদের অনুরোধে বিরতি দিয়েছিলেন এবং রেফারি অনুমোদন দিয়েছিলেন ইফতারি করার জন্য। সূত্র: বিবিসি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments