Saturday, July 27, 2024
spot_img
Homeবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিম্যাগির থ্রিডি প্রিন্ট করা স্কুল

ম্যাগির থ্রিডি প্রিন্ট করা স্কুল

বন্যায় স্কুলঘরের অবস্থা বেহাল। অথচ এই ঘর মেরামত করতে লাগবে অনেকটা সময়। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় যাবে পিছিয়ে। ঠিক তখনই নিজের ল্যাপটপটি চালু করে সুন্দর একটি স্কুলের মডেল ঠিক করলেন আর থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে সেটি প্রিন্ট করে নিলেন।

চোখের পলকে নতুন স্কুলঘর উঠল আর ছেলে-মেয়েরা পেয়ে গেল নতুন ক্লাসরুম। আগে সায়েন্স ফিকশনে এ ধরনের অনেক ঘটনা দেখা গেলেও এবার বাস্তবে এটি সম্ভব করেছেন ২২ বছর বয়সী ম্যাগি গ্রাউট। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া আমেরিকার বেসরকারি সংগঠন ‘থিংকিং হাটস’-এর প্রধান নির্বাহী তিনি। অনুন্নত দেশগুলোতে নতুন নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আকৃষ্ট করে থাকে থিংকিং হাটস। এরই ধারাবাহিতায় আফ্রিকার মাদাগাস্কারে তারা প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় থ্রিডি প্রিন্টেড স্কুল। প্রজেক্টটির নাম তারা দিয়েছে ‘বোগেনভিলিয়া’। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে বোগেনভিলিয়া প্রজেক্টের আবির্ভাব। তবে সে ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ ছিল মাদাগাস্কার। কারণ আফ্রিকার এই দেশটিতে প্রতি পাঁচজনের একজন কখনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়ায়নি। কেনিয়া ও মালাউতে থ্রিডি প্রিন্টিং সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ‘ফোরটিন ট্রি’র সঙ্গে অংশীদারি গড়ে তুলেছে থিংকিং হাটস। স্কুলের নকশার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রুনো সিলভা ও জশ মেহতাকে।

থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের জন্য প্রথমে সফটওয়্যারের সাহায্যে স্কুল বিল্ডিংয়ের চূড়ান্ত নকশাকে ত্রিমাত্রিক ইমেজের আকার দেওয়া হয়। এরপর ইমেজটিকে কম্পিউটারে প্রসেস করানো হয়। আকার পরিবর্তন, কোনো অংশ বাদ দেওয়া, নতুন কিছুর সংযোজন বা রং পরিবর্তন ইত্যাদির কাজটি এই অংশে করে ফেলতে হয়। প্রসেসিং শেষে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক দিলেই মেশিন বক্সে রাখা কাঁচামালের সাহায্যে বস্তুটির একটি বাস্তব রেপ্লিকা তৈরি হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে প্রিন্টারে থাকা ফিলামেন্টে মোটরের মাধ্যমে সিমেন্ট ও বালুর মিশ্রণ একটি সরু মুখ (নজল) দিয়ে বের হয় এবং নজলের মাধ্যমে ক্রমাগত স্তর তৈরি করে এবং একটি পর্যায়ে এসে কাঙ্ক্ষিত বস্তুর অনুরূপ আকার গঠন করে।

কাঁচামাল হিসেবে কাগজ বা পলিমারও ব্যবহার করা যায়। অবশ্য বোগেনভিলিয়া প্রজেক্টের জন্য বানানো স্কুলের দরজা, জানালা ও ছাদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্থানীয় নির্মাণসামগ্রী। স্কুলের থ্রিডি ডিজাইনের ক্ষেত্রে থিংকিং হাটস মৌমাছির ওপর অনেকটা ঋণী। মৌমাছির মৌচাকের পাশাপাশি কিউব আকৃতির ঘর দেখেই তারা এ ধরনের স্কুলের ধারণা পায়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments