নতুন স্বপ্ন ও নতুন আশা নিয়ে এলো একটি নতুন বছর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। সে উপলক্ষেই করোনার মধ্যেও জমকালো আতশবাজি আর আলোকসজ্জায় দেশে দেশে বরণ করে নেওয়া হয়েছে খ্রিস্টীয় নতুন বছর। নানা সংকট, সংঘাত, পীড়নের মধ্যেও বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন, লড়াই করার নতুন উদ্দীপনা আর সংকট পেরোনোর নতুন প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ বরণ করেছে নতুন বছরকে।
২০২০ সালের মার্চে দেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৭। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭০ জনের।
বিপুলসংখ্যক মানুষ জীবিকার সংকটে পড়েছেন। প্রায় উনিশ মাস সময় ধরে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে; তাদের জীবনমান ইতোমধ্যে অনেক কমেছে। নতুন দরিদ্র তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অনেক মানুষ। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর এবার চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। নতুন বছরে আমরা করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে সারা পৃথিবীর মানুষের আশুমুক্তি কামনা করি। এই দুঃসময় দূর হোক। সারাবিশ্ব দ্রুত টিকার আওতায় আসুক। মনে রাখতে হবে, সবাই নিরাপদ না হলে কেউ নিরাপদ থাকবে না।
গত বছরগুলোর মতো ২০২১ সালেও দেশে ধারাবাহিকভাবে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, নৃশংসতা, নির্মমতা ও রক্তাক্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীকে। এবার রাজনীতির মাঠ তেমন উত্তপ্ত না হলেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেন্দ্রিক উত্তেজনা ও সহিংসতা বেড়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় অর্থনীতিতে দেশ এগিয়েছে অনেক। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য হ্রাসসহ নানা ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশের শীর্ষে অবস্থান বাংলাদেশের। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাফল্য বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে।
নতুন এই বছর অফুরান প্রত্যাশা নিয়ে এসেছে সবার কাছে। এই নতুন বছর হোক উত্তরণের, কালের যাত্রায় এগিয়ে চলার। নতুনের আবাহনে জেগে উঠুক সারাদেশ, বিশ্ব। ২০২২ সাল মানুষের জীবনে বয়ে আনুক সুখ ও সমৃদ্ধি।