সকাল থেকেই পদ্মা সেতুতে চলছে যানবাহন। প্রথম দিনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সেতুর টোলপ্লাজায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসেন অনেকেই। সেতুতে উঠার জন্য দিচ্ছেন সরকার নির্ধারিত টোল। তবে অনেকেই বলছেন- টোল নয় আনন্দ কিনছি। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করছি।
সেতু দেখতে আসা কিংবা পাড়ি দিতে আসা উৎসুকরা সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভিড় করছেন। তবে সকালে সেতু পাড়ি দিতে গতরাত থেকে সেতুর উভয় প্রান্তে আসতে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন। সকাল পর্যন্ত সেখানে লেগে যায় যানজট। সেতু খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোটরবাইক চালকরা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই টোল প্লাজায় ভিড় করেন। এতে টোলের বুথে থাকা লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
যদিও এজন্য তারা যান চালকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে যান চালকরা বলেছেন- অনেকটা মন্থর গতিতে টোল আদায় হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর উত্তর প্রান্তে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিরপুর থেকে আসা শাকিল আহমেদ বলেন, আমার ইচ্ছা ছিলো প্রথম দিন পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক চালাবো। আজ স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আসলাম। দুজনেই বেশ উপভোগ করছি। এমন সময় হয়তো আর পাবো না। কোন প্রয়োজন ছাড়াই আসা। টোল দিয়েছি। এতে কোন কষ্ট নেই। আমরা যে আনন্দ পেয়েছি এটা টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মোখলেসুর রহমান বলেন, সেতু খুলে দেয়ার প্রথম দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশাল যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। এখন খুশি লাগছে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে বাড়ি যাচ্ছি। রাতে আবার এই সেতু দিয়েই ঢাকায় আসবো।