Friday, April 19, 2024
spot_img
Homeজাতীয়৬০ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

৬০ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

দিনাজপুরে দিনভর বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক

দিনভর অপেক্ষার পর শূন্যহাতে ফিরেছেন দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত মিনারের পরিবার। শনিবার সকালে শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হলেও তাতে লাশ শনাক্ত ছাড়া আর কোনো কিছু মেলেনি। এদিকে হত্যার ৬০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত না দেয়ায় নিহত মিনারের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সকাল থেকে বিজিবি’র দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির সামনে অপেক্ষা করতে থাকে নিহত মিনারের পরিবারসহ এলাকাবাসী। বিকাল পর্যন্ত লোকজন লাশ ফেরত পাবার অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু সকালে দীর্ঘ সময় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে শুধুমাত্র লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে জানা যায়, বিকালে লাশ ফেরত দেয়া হবে। 

বিকাল ৫টায় বিজিবি’র একাধিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার আর লাশ ফেরত দেয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। কিন্তু এ বিষয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনোকিছু জানানো হয়নি।

বিকাল ৫টার পর শূন্যহাতে ফিরে আসে স্বজন ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য রুমানা পারভীন বলেন, আমরা বিজিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। লাশ দ্রুত হস্তান্তরে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

নিহত মিনারের বাবা বলেন, আমার ছেলেটা কী অপরাধ করলো জানি না। তাকে মেরে ফেলা হলো।

এখন লাশটা রেখে ভারতের কি লাভ? আমরা আমাদের কলিজার টুকরাকে পেলে অন্তত দাফনটা করতে পারবো। বিএসএফ কেন এই তালবাহানা করছে? আমরা চাই-দ্রুত ছেলের লাশ ফেরত দেয়া হোক। নিহত মিনারের চাচাতো ভাই রুবেল হাসান বলেন, আমার ভাইকে বিএসএফ হত্যা করে ভারতে নিয়ে গেছে। এত সময় পার হয়ে গেল, কিন্তু তার লাশটা ফেরত দিলো না এখনো। আমরা এর বিচার চাই এবং আমার ভাইয়ের লাশ তাড়াতাড়ি ফেরত চাই।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর বিওপি ৩১৪/১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কচ্ছপের শুঁটকি আনতে গিয়ে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয় খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মিনার বাবু। 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments