আন্তর্জাতিক বাজারে অবাধ শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ওডেসায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে যুক্তরাষ্ট্র । বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে কিয়েভে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক বলেছেন, ওডেসায় হামলার জন্য মস্কোকে জবাবদিহি করতে হবে।
ব্রিজেট ব্রিঙ্ক টুইটারে লিখেছেন, ক্রেমলিন খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। রাশিয়াকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ওডেসায় হামলা চালালেও চুক্তি স্বাক্ষরের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছিলেন মস্কো এই চুক্তির ‘কোনো সুযোগ’ নেবে না।
ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগদানের পর রসিয়া-২৪ রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে সের্গেই শোইগু বলেন, রাশিয়া সেই বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করেছে যা এই নথিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বন্দরগুলোর মাইন সরিয়ে খুলে দেওয়ার সুযোগ আমরা নেব না। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।
ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর বেশিরভাগই দখল করে রাশিয়া। এরপর সেগুলো বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিও। এতে করে বিশ্বে খাদ্য সংকটের শঙ্কা দেখা দেয়। কারণ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক দেশ হলো ইউক্রেন।
রাশিয়া-ইউক্রেনের শস্য চুক্তির বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক।
শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এ চুক্তির মাধ্যমে আটকে থাকা ইউক্রেনের বন্দরগুলো আবার খুলে খেল। এখন ইউক্রেনের উৎপাদিত গম এবং সূর্যমুখী তেল, বার্লি এবং ভূট্টা রপ্তানির দ্বারও খুলে গেল।
চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের তিনটি বন্দর ব্যবহার করে শস্য রপ্তানি করবে ইউক্রেন। এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ওডেসা বন্দরও।