Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeখেলাধুলা২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে?

২০২৬ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে দেখা যাবে?

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের রেশ কাটতে না কাটতে হাজির আরেক মহারণ। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আজ ‘লা ফিনালিসিমা’ নামের মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ইউরোজয়ী ইতালি। 

দুই মহাদেশের দুই চ্যাম্পিয়ন দলকে নিয়ে এমন আয়োজন আগেও দুবার হয়েছে। ১৯৮৫ সালে প্রথম আসরে উরুগুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল মিশেল প্লাতিনির ফ্রান্স। ১৯৯৩ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ককে হারায় দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। 

এবার ইতালির বিপক্ষে মহারণের আগে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক প্রসঙ্গে কথা বললেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

প্রশ্ন : ইতালির বিপক্ষে ‘ফিনালিসিমা’ ম্যাচ নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

মেসি : ম্যাচটা দারুণ হবে। তারা ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপে থাকলে ইতালিকে ফেভারিট ধরা হতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বিশ্বকাপে নেই। ফুটবলীয় কারণেই বাদ পড়েছে। ইতালি থাকলে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের ড্রয়ে কেউ তাদের মুখোমুখি হতে চাইত না। লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যেতে এই ম্যাচ আমাদের জন্য পরীক্ষা। জেতার জন্যই আমরা মাঠে নামব।

প্রশ্ন : বিশ্বকাপে ইতালির অনুপস্থিতি কতটা বিস্ময়কর?

মেসি : এটা অবিশ্বাস্য যে, ইউরো জিতলেও তারা বিশ্বকাপে নেই। তাদের না থাকা পীড়াদায়ক; কিন্তু এটাই বাস্তবতা। পিএসজিতে আমার সতীর্থ ও বন্ধু আছে ইতালি দলের। তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে, বিশেষ করে মার্কো ভেরাত্তি। ওর জন্য আমার কষ্ট লাগছে।

প্রশ্ন : বর্তমান আর্জেন্টিনা দল ও তাদের সাফল্য নিয়ে বলুন।

মেসি : এই দল প্রতিটি ম্যাচ খেলে ‘ফাইনাল’ ভেবে। সবাই জানে তাদের কীভাবে খেলতে হবে। ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে তাদের কী করতে হবে। তরুণ একটি দলে যা সহজ নয়; কিন্তু এই দলের সবার নিজের করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা আছে। আর্জেন্টিনার এই দলটা যে কারও সঙ্গে লড়াই করতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বিশ্বকাপের দাবিদার। বলতে চাইছি, আমরা এখন যে কোনো দলের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রস্তুত।

প্রশ্ন : সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করবে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষকে কীভাবে দেখছেন?

মেসি: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ সব সময় অন্যরকম। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, প্রথম ম্যাচে জড়তা থাকে। আমাদের দলের অনেকেরই এটা প্রথম বিশ্বকাপ। তাদের চাওয়া যেমনই থাকুক, জেতার চাপ তারা অনুভব করবে। কারণ, প্রথম ম্যাচ জেতাটা পরের পথচলার জন্য আত্মবিশ্বাস জোগায়। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, কোনো প্রতিপক্ষই সহজ নয়। আমাদের গ্রুপটা কঠিন। পুরো বিশ্বকাপই কঠিন হতে যাচ্ছে।

প্রশ্ন : ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কি মেসিকে দেখা যাবে?

মেসি : আগেও বলেছি, কাতার বিশ্বকাপের পর অনেক বিষয় নিয়ে আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে। আসলে, আমি জানি না দেখা যাক কী হয়। একসময় যেমন কল্পনায়ও ছিল না, আমি বার্সেলোনা ছাড়া অন্য কোথাও খেলব। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমাকে চলে যেতে হলো। আগামীতে অনেক কিছু ঘটতে পারে, ফুটবল পরিবর্তনশীল।

প্রশ্ন : বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে এসে কোন পরিবর্তনগুলো অনুভব করছেন?

মেসি : আমাকে খেলার নতুন ধরনের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। আগে আমি এক ঘরানার খেলায় অভ্যস্ত ছিলাম। নতুন জায়গায় আসাও ছিল অন্যরকম। ফুটবলকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা, নতুন সতীর্থ, সবকিছুই আমার জন্য নতুন ছিল। মনে পড়ে, প্রথমদিন বাচ্চাদের স্কুলে রেখে ফেরার সময় আমি ও আন্তোনেল্লা কেঁদেছিলাম। পরস্পরকে বলেছিলাম, এখানে কী করছি আমরা।

প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে পিএসজির বিদায় কতটা পোড়ায়?

মেসি : আমাদের জন্য সেটি ছিল বড় ধাক্কা। রিয়াল আমাদের শেষ করে দিয়েছিল। রিয়ালের সঙ্গে অনেক দিনের চেনাজানার ফলে আমি জানতাম, এমন কিছু হতে পারে। যে কোনো পরিস্থিতিতে গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তারা। রিয়াল মাদ্রিদ এবার সেরা দল ছিল না। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা চ্যাম্পিয়ন দল। সে কারণেই সেরা দল না হয়েও তারা শিরোপা জিতেছে।

প্রশ্ন : করিম বেনজেমার ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু?

মেসি : এখানে দ্বিধার কোনো অবকাশ নেই। বেনজেমা দুর্দান্ত একটি বছর কাটিয়েছে। শেষটা করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে। ব্যালন ডি’অর এবার বেনজেমাই জিতবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments