হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। এবার যাঁরা পবিত্র মদিনা বা দেশে ফিরবেন, তাঁদের বিদায়ী তাওয়াফের পালা। তাই মাতাফে নামতে এখন আর কোনো বিধি-নিষেধ নেই। হজের আগে ওমরাহর উদ্দেশ্যে ইহরাম না বাঁধলে কাবার মাতাফে যেতে দেওয়া হতো না।
ভিড় এড়ানোর উদ্দেশ্যে শুধু ওমরাহকারীদের জন্যই মাতাফ উন্মুক্ত ছিল। এখন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকায় সেখানে ভিড়ের মাত্রা অনেক বেশি।
শুধু মাতাফ নয়, দ্বিতীয় তলা ও তৃতীয় তলায়ও তিল ফেলার জায়গা নেই। দেশে ফেরার আগে প্রিয় কাবাকে শেষবার দেখার জন্য মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। এই সুযোগে যাঁদের ফ্লাইট দেরিতে তাঁরাও তাওয়াফ করে নিচ্ছেন, যেহেতু পবিত্র কাবাঘর স্বচক্ষে দেখার স্বাদ কখনোই মিটবার নয়। আর কাবাঘর দেখতে হলে তাওয়াফের চেয়ে সহজ কোনো পন্থা নেই।
তা ছাড়া পবিত্র কাবাঘর সামনে রেখে নামাজ পড়লে যে প্রশান্তি অনুভূত হয়, তা আর কোনোভাবে পাওয়া যায় না, তাই অনেকের লক্ষ্য থাকে নামাজের আগে তাওয়াফে নেমে নামাজের সময় মাতাফে নামাজের সুযোগ করে নেওয়া।
বিশ্ব মুসলিমের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা পবিত্র কাবা, ভালোবাসার অন্যতম শহর পবিত্র মক্কা, প্রিয় নবীজির কাছেও এই শহর সর্বাপেক্ষা প্রিয় ছিল।
এই পবিত্র ঘর হাজার মাইল দূর থেকেও মানুষকে আকর্ষণ করে। যাঁরা এই শহরে চলে এসেছেন, তাঁদের আকর্ষণ স্বাভাবিক বিষয়। তবে যাঁদের ফিরতি ফ্লাইট দেরিতে, তাদের এসএমএসের মাধ্যমে ভিড় এড়ানোর জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকে বিভিন্ন মোবাইল কম্পানি।
এতে একদিকে যেমন নিজেদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, অন্যদিকে যাঁরা বিদায়ী তাওয়াফ করছেন, তাঁদের জন্যও সহজ হয়।
তাই যাঁদের আরো কিছু দিন মক্কায় অবস্থানের সুযোগ আছে, তাঁরা দুই-একটা দিন একটু সংযত হয়ে বিদায়ী তাওয়াফকারীদের সুযোগ দেওয়া উচিত।