Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeধর্মহজ নিয়ে ব্রিটিশ মুসলমানদের দুশ্চিন্তা

হজ নিয়ে ব্রিটিশ মুসলমানদের দুশ্চিন্তা

করোনার পর প্রথম স্বাভাবিক হজে অংশ নিতে অপেক্ষায় আছেন অনেকে। অন্যদিকে নানা সমস্যায় অনিশ্চয়তায় দিন পার করছেন ব্রিটিশ হজযাত্রীরা। কারণ এ বছর থেকে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের জন্য নুসুক নামের নতুন হজ বুকিং পদ্ধতি চালু করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়ম অনুসারে যুক্তরাজ্য থেকে এ বছর পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন মাত্র তিন হাজার ৬০০ জন; অথচ করোনার আগে তা ছিল ২৫ হাজার।

ফলে হজ করতে চাইলে ব্রিটিশ হজযাত্রীদের পাঁচ থেকে ১০ বছর অপেক্ষায় থাকতে হবে।

মিডল ইস্ট আই ও দ্য টেলিগ্রাফ অ্যান্ড আরগাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন পদ্ধতিতে অনেক ব্রিটিশ মুসলিম হজ প্যাকেজ বুকিং করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ বুকিংয়ের চেষ্টা করলে তাতে লেখা আসছে দেশের ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেছে। তাই ব্রিটিশ হজযাত্রীদের কোটা বৃদ্ধির দাবি উঠছে স্থানীয়দের মধ্যে।

যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারের শিপলিতে বসবাসকারী শাবানা কাসিম বলেন, ‘এ বছর সবাইকে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে হজ প্রক্রিয়ায় অনেক উন্নতি হচ্ছে। এ বছর তা অনেক ভালো প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে। কিন্তু তা এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। আমরা এবার হজ পালনের ইচ্ছা করি।

গত ৫ মে নুসুক অ্যাপে প্যাকেজ শুরুর পর আমার প্রায় ৫০ ঘণ্টা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি। বিষয়টি চাকরিজীবীদের জন্য খুবই কষ্টকর।’ 

হজের সমস্যা নিয়ে লন্ডনে সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে কয়েকজন ব্রিটিশ এমপির বৈঠক হয়। লেবার পার্টির এমপি ইয়াসমিন কুরেশির নেতৃত্বাধীন অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধিদল হজ ও ওমরাহ বিষয়ক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে।এর আগে কুরেশিসহ ছয় দলটির পাঁচ সদস্য সৌদি আরবের হজবিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ সুলাইমান মাশাত ও অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তারা হজ কোটার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানালেও এই সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি।

ব্রিটিশ হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী দাতব্য প্রতিষ্ঠান দ্য কাউন্সিল ফর ব্রিটিশ হাজিস (সিবিএইচ) জানায়, নুসুক অ্যাপে যুক্তরাজ্যের জন্য নির্ধারিত ২০২৩ সালের হজের কোটা পূর্ণ হয়ে গেছে। তবে যুক্তরাজ্যের জন্য আরো কিছু প্যাকেজ খোলা হতে পারে। তাই ব্রিটিশ মুসলিমদের ‘নুসুক’ ওয়েবসাইটে নিয়মিত চেক করার অনুরোধ করছি। তা ছাড়া যুক্তরাজ্যের হজযাত্রীদের জন্য কয়টি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হবে তা এখনো অস্পষ্ট। অথচ  আগামী ২৬ জুন থেকেই পবিত্র হজ শুরু হবে।

সিবিএইচের প্রধান নির্বাহী রাশিদ মুগরাদিয়া বলেন, ব্রিটিশ মুসলিমদের হজ সমস্যা নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন ইয়াসমিন কুরেশি। তিনি করোনা-পূর্ব সময়ের মতো চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কোটার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। অবশ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য নতুন নির্ধারিত কোটা অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সঙ্গে সংগতি রেখেই করা হয়েছে। সাধারণত প্রতি হাজারে একজনের কোটা বরাদ্দ হয়।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments