সড়কের পাশ ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে টিনের দুইচালা ঘর। ঘর বলতে এটি একটি চায়ের দোকান। আর এই চায়ের দোকানের নাম ‘নাইট ক্লাব’। স্নাতক পাশ করা এক যুবক এই চা দোকানের মালিক। কুষ্টিয়ার মিরপুর পশুর হাটসংলগ্ন সড়কের পাশে দোকানটির অবস্থান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন দোকানে দেখা গেছে, দোকানের মধ্যে তখন কিছু মানুষ চা পানে ব্যস্ত। এই কর্মব্যস্ততার ফাঁকেই কথা হয় দোকান মালিক মো. শাহিনুর রহমান অরুণের সঙ্গে।
তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। মিরপুর মাহমুদ চৌধুরী কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে এইচএসসি ও ২০০২ সালে স্নাতক পাশ করেন। এরপর তিনি স্থানীয় কয়েকটি এনজিও সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। ২০১৪ সালে চাকরি ছেড়ে তিনি কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় চায়ের দোকান দেন। এরপর সেখান থেকে এসে মিরপুর পশুর হাটসংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের দোকান ঘর ভাড়া নেন। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।
অরুণ বলেন, আগে চায়ের দোকানে জ্বালানি হিসেবে খড়ির ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন কয়লা দিয়ে চা তৈরি করা হয়। এতে আমাদের গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে দোকানটি ভাড়া নিয়েছি। প্রতি মাসে দোকানের ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকা গুনতে হয়।
তিনি বলেন, আমার চায়ের দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকা বিক্রি হয়। এতে খরচ বাদে প্রায় ৫০০ টাকার মতো লাভ থাকে। এ দিয়েই সংসার মোটামুটি চলে যায়। এছাড়া প্রতি মঙ্গলবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। হাটের দিন ১০ হাজার টাকা পর্যন্তও বেচাবিক্রি হয়।