পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার (৯৩০০০০ মাইল) দূরের আউটপোস্টে আজ শনিবার রওনা দেবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে যাত্রায় কিছুটা দেরি হলো।
ফরাসি গায়ানার কৌরো স্পেস সেন্টার থেকে আরিয়ান ৫ রকেটে চেপে পৃথিবী ছাড়বে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। যা তৈরিতে ব্যয় হয়েছে বিলিয়ন ডলার আর সময় লেগেছে প্রায় তিন দশক।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটের (১২২০ জিএমটি) পরে একটি নির্দিষ্ট লঞ্চিং টেলিস্কোপটিকে তার দূরবর্তী কক্ষপথে এক মাসব্যাপী যাত্রায় পাঠাবে। এটি নতুন নতুন ক্লু নিয়ে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা বিজ্ঞানীদের সৌরজগতের বাইরে মহাবিশ্ব এবং পৃথিবীর মতো গ্রহের উৎপত্তি সম্পর্কে আরো জানতে সহযোগিতা করবে।
ওয়েব প্রকল্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন ম্যাথার সোশ্যাল মিডিয়ায় টেলিস্কোপের আশ্চর্য সংবেদনশীলতার বর্ণনা দেন। বিলিয়ন বছর আগে প্রথম গ্যালাক্সির অস্তিত্ব এবং প্রথম নক্ষত্রের দ্বারা নির্গত দুর্বল আভা শনাক্ত করার জন্য এর প্রয়োজন বলে জানান।
ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য
টেলিস্কোপটি আকারে অসম এবং জটিল। এর আয়নাটির ব্যাস ৬.৫ মিটার (২১ ফুট)- হাবলের আয়নার আকারের তিন গুণ। এটি ১৮টি ষড়ভুজ দিয়ে তৈরি। এটি এতই বড় যে রকেটে বসার জন্য ভাঁজ করতে হয়েছে।
একবার রকেটগুলো ওয়েবকে ১২০ কিলোমিটার নিয়ে যাওয়ার পরে ফেয়ারিং লোড হালকা করার জন্য শেড করা হবে। সেই পর্যায়ে চাপের পরিবর্তন থেকে সূক্ষ্ম যন্ত্রটিকে রক্ষা করার জন্য রকেট-বিল্ডার আরিয়ানস্পেস একটি কাস্টম ডিকম্প্রেশন সিস্টেম ইনস্টল করেছে।
বৃহস্পতিবার কৌরোতে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার এক কর্মকর্তা মজা করে বলেন, ‘একজন ব্যতিক্রমী ক্লায়েন্টের জন্য ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা।’
লঞ্চের প্রায় ২৭ মিনিট পর ফ্লাইটের প্রথম ধাপ সফল হয়েছে কি না, তা মাটিতে থাকা ক্রুরা জানতে পারবেন। একবার এটি তার স্টেশনে পৌঁছলে আয়না ও একটি টেনিস কোর্ট আকারের সূর্যের ঢাল স্থাপন করা হবে। এই জটিল প্রক্রিয়াটি দুই সপ্তাহ সময় নেবে এবং ওয়েবকে সঠিকভাবে কাজ করতে হলে অবশ্যই এটিকে ত্রুটিহীন হতে হবে। এর কক্ষপথ হাবলের চেয়ে অনেক দূরে হবে।
এটি ২০২২ সালের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষেবা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র : এএফপি