Thursday, April 25, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAসৌদি-আমিরাতকে শাস্তি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল

সৌদি-আমিরাতকে শাস্তি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্য। সম্প্রতি দেশ দুইটির তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে। উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রাশিয়ার পাশে থাকার’ অভিযোগ করেছেন তারা। খবর আরটির।

তেল-উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে বুধবার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহের প্রায় ২ শতাংশের সমান। ইউক্রেন সংঘাতকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেল বাণিজ্য রোধ করতে রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ঠিক এমন সময় তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওপেক প্লাসের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে হতাশ বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসের তিন সদস্য ডেমোক্র্যাট দলীয় সিন ক্যাস্টেন, টম ম্যালিনোস্কি এবং সুসান ওয়াইল্ড ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।  

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত তেল উৎপাদন ব্যাপক হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি শত্রুতামূলক কাজ। এ সিদ্ধান্ত সুস্পষ্টভাবে সংকেত দেয় যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা রাশিয়ার পাশে থাকার পথ বেছে নিয়েছে। ‘

ওপেক প্লাস সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, ইরান, রাশিয়া, নাইজেরিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ তেল সমৃদ্ধ দেশ।

ডেমোক্র্যাট দলীয় এই তিন আইনপ্রণেতার যুক্তি দিয়েছেন, মূল্য বৃদ্ধি করে রাশিয়ার তেল রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য ওপেক প্লাস তেল উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওয়াশিংটনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত উপসাগরীয় দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অন্যদিকে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের মধ্যে তেলের দাম বাড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ করে মার্কিন আইনপ্রণেতারা আরো বলেছেন, বর্তমানে সৌদি আরবে তিন হাজার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশ দুটিতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরিচালনা করছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী প্রধান মিত্রদের মধ্যে রিয়াদ এবং আবুধাবি অন্যতম।

সূত্র: আরটি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments