বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ধারায় এবার সেনাবহরে নতুন সংযোজিত হয়েছে তুরস্কের তৈরি ‘টাইগার মিসাইল সিস্টেম’। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাপ্রধান বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস-এর ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত তুরস্কের তৈরি টাইগার মিসাইল সিস্টেম আমাদের আভিযানিক সক্ষমতাকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফে শিলখালী ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে যৌথ জাহাজীকরণোত্তর ও স্থানীয় প্রশিক্ষণোত্তর সফল মিসাইল ফায়ারিং শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এমন কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে, টেকনাফের শিলখালী সাগরের সামনে বিশাল বালিয়াড়িতে রাখা হয়েছে ৩০ টন ওজনের ট্রাক ও রকেট লঞ্চার। যার ওপর রয়েছে দুটি টিউব। প্রতিটি টিউবে লোড করা হয়েছে টাইগার এমএলআরএস। বেলা ১১টার কিছু পর, বিকট শব্দে টিউব থেকে ছুটে যায় মিসাইল। যা ৪ মিনিটের মধ্যে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর ঠিক ১০ মিনিট টিউব থেকে ছোড়া হয় দ্বিতীয় মিসাইল।
সেনাবাহিনীতে নবসংযোজিত টাইগার এমএলআরএস’র যৌথ জাহাজীকরণোত্তর ও স্থানীয় প্রশিক্ষণোত্তর ফায়ারিং অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনালের স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনালের মিজানুর রহমান শামীম, এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক সহ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।