বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার এখন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতি সেকেন্ডে ১.১ কুইন্টিলিয়ন হিসাবের মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশটির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির (ওআরএনএল) ‘ফ্রন্টিয়ার সুপারকম্পিউটার। এর আগে সুপারকম্পিউটারের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডটি ছিল জাপানের তৈরি সুপারকম্পিউটার ফুগাকুর দখলে। ফুগাকুর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪৪২ পেটাফ্লপ। আর ফ্রন্টিয়ারের সর্বোচ্চ গতি ১.১ এক্সাফ্লপ।
২০২০ সালে ফুগাকু বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটারের সিংহাসন দখল করার আগে পরপর দুবছর সিংহাসনটি আইবিএমের তৈরি ‘সামিট’ সুপারকম্পিউটারের দখলে ছিল। ‘ফ্রন্টিয়ার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক চ্যালেঞ্জগুলো সমাধানের জন্য নতুন প্রজন্মের এক্সাস্কেল কম্পিউটার,’ এক বিবৃতিতে বলেছেন ওআরএনএল পরিচালক টমাস জাকারিয়া। ‘বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের টুল হিসাবে ফ্রন্টিয়ারের সক্ষমতার মাইলফলক এটি,’ যোগ করেন তিনি।
সুপারকম্পিউটারগুলো আকারে এতটাই বড় যে এর জন্য একটি দালানের কয়েক তলা জুড়ে হতে পারে এর অবস্থান। এই সুপারকম্পিউটারগুলো চালাতে ছোটখাটো একটি শহরের চাহিদার সমান বিদ্যুৎ খরচ হয়। পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহাবিশ্বের নানা জটিলতার উত্তরের খোঁজে ব্যবহৃত হয় এ দানবীয় কম্পিউটারগুলো। এমনকি ওষুধ ও টিকা নিয়ে গবেষণাতেও ভূমিকা রাখতে পারে একটি সুপারকম্পিউটার।
যুক্তরাষ্ট্র সিংহাসনে ফিরলেও শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুপারকম্পিউটার এখনো চীনের। ১৭৩টি সুপারকম্পিউটার আছে চীনের হাতে। তার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা সুপারকম্পিউটারের সংখ্যা ১৫০টি থেকে কমে ১২৬-এ নেমে এসেছে।