Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeনির্বাচিত কলামসীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের বোঝাপড়া জরুরি

সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের বোঝাপড়া জরুরি

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি।

কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিনের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতার শুরুতেই বলেছিলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব চিরকালের জন্য থাকবে। পৃথিবীর কোনো ক্ষমতা কখনোই এই সমঝোতা, এই ঐক্যে কোনো রকম চিড় ধরাতে পারবে না।

কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, ভারত এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আর কোনো দিন প্রবেশ করতে পারবে না। ’ বঙ্গবন্ধুর এই যে প্রত্যাশা, আজ ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আবার আমাদের মনে করতে হচ্ছে, ভাবতে হচ্ছে যে যেসব জায়গায় সম্পর্কের ফাটল দেখা দিতে পারে বা দেখা দিচ্ছে সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, আমার বাংলাদেশ তিতুমীরের বাংলাদেশ, আবার সূর্যসেনের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের ভূখণ্ড সুভাষ বসু থেকে ফজলুল হক, এমনকি সোহরাওয়ার্দীরও বাংলাদেশ। এই রকম একটা ঐক্যের বার্তা দিয়ে তিনি সেদিন পাকিস্তানের আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেছিলেন। আজ এত বছর পর, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যখন বলছেন, দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

সীমান্তে সংঘর্ষ কেন হবে? কেন বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যেও সংঘাত সৃষ্টি হবে? কেন সেখানে নিরীহ বাংলাদেশের মানুষকে নির্মমভাবে লিথাল অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হবে? আবার বিএসএফের জোয়ানরা, যাঁরা একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, যাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ভারতের আধাসামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করেছিল, আজ তারা কেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সক্রিয় হবে? আর কেনই বা বিএসএফের কর্মীরাও নিহত হবে? দুই দেশের মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকার এই যে উদ্বেগ, তা অবিলম্বে মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন।

দুই দেশেরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই বিএসএফ ও বিজিবির নিয়মিত বৈঠক হয়। কখনো বিজিবি দিল্লিতে আসে, বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। আবার কখনো বিএসএফ ঢাকায় গিয়ে বিজিবি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। যে বিএসএফের জোয়ানরা বিপদের ঝুঁকি নিয়ে, নিজেদের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী রুখতে, পাকিস্তানের অপরাধীদের নির্মমভাবে সাজা দিতে, সেই বিএসএফের বিরুদ্ধেই আবার অভিযোগ ওঠে যে তারা অনুপ্রবেশকারীর নাম করে নিরীহ বাংলাদেশিদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।

এসব অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ যে চলতে থাকে, এর ফলে অনেক সময় বৃহৎ পররাষ্ট্রনীতিতে তার কালো ছায়া পড়ে। যেমন—বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন ব্যবসায়ীকে অন্যায়ভাবে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। আবার ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হচ্ছে, যেসব বাংলাদেশিকে বিএসএফ আক্রমণ করে, তারা চোরাকারবারি, তারা অন্যায়ভাবে ভারতের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে বলেই তাদের ধরা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

দুই দেশের মধ্যে আজ যা পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে বারবার এটাই মনে হচ্ছে যে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টার মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেছেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া দরকার। ভারতের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দুই দেশের সরকারই কিন্তু এ ধরনের সন্ত্রাসকে চায় না বা তারা কোনোভাবে মদদ দিচ্ছে না, তবু এই রকম ঘটনা ঘটে।

আমার মনে হয়, ডাণ্ডা দিয়ে ঠাণ্ডা করে দেব—এই মানসিকতা থেকে কিঞ্চিৎ বেরোতে হবে। দুই দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে একটা সুষ্ঠু বোঝাপড়া দরকার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হলেও যেমন এখনো অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের ভারতে আসার প্রয়োজনীয়তা থাকে, সেরকমই আবার অনেক ভারতীয়রও বাংলাদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকে। যেকোনো কারণে হোক, এ ক্ষেত্রে দুই দেশের ভিসার যে নীতি, তাতেও অনেক আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেই জটিলতার ফাঁসগুলো মেরামত করার জন্য দুই দেশের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই ভিসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলোর মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা তাদের ভিসানীতি অনেকটাই শিথিল করেছে। তা সত্ত্বেও এখনো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভারতকে এ ব্যাপারে আরো অনেক বেশি উদার হতে হবে। কেননা ভারত তুলনামূলকভাবে বড় দেশ বলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে আসার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।

আসাদুজ্জামান খান একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ এমন একটা জায়গায় অবস্থিত, যেখানে একটা সুদীর্ঘ সীমান্ত আছে। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত সুবিশাল এবং এটা একটা ঐতিহাসিক সীমান্তও বটে। এত বড় সীমান্তের মধ্যে বাংলাদেশের মতো আয়তনে ছোট একটা দেশের টিকে থাকা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এখানে সীমান্ত সব সময়ই সংবেদনশীল। কাজেই সব রকম সমস্যারও মীমাংসা হওয়া খুব জরুরি। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত যাতে আর না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। গুলি চালিয়ে একজন চোরাকারবারিকে নিহত করা যেতে পারে, কিন্তু তাতে কি মূল সমস্যার সমাধান হচ্ছে? মূল সমস্যার সমাধান করতে গেলে আলোচনার পথে আসতে হবে। কূটনীতির পথেও এই মুহূর্তে ভারতের কিন্তু বাংলাদেশকে প্রয়োজন এবং বাংলাদেশেরও যে ভারতকে প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তো কোনো সন্দেহ নেই। সেই কারণে আজ আরো বেশি করে এ বিষয়ে দুই দেশের আলোচনা করা প্রয়োজন। যদিও দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও অনেক আলোচনা হয়েছে এবং আরো আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৯৬ কিমি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে দুই দেশেরই বিভাজন ১৯৪৭ সালে হয়েছে। সেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপার ছিল। আমি গাজা স্ট্রিপে দেখেছি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যে সীমারেখা, সেটা খুব সুনির্দিষ্ট একটা সীমারেখা। অন্যদিকে ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তে নদী ও সমতল ভূমি দুই দেশের মধ্যে এমনভাবে জড়িয়ে রয়েছে যে এই সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে দুই দেশের মানুষেরই বসবাস রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, এই দুই দেশের মধ্যে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে অনেক বেশি সাযুজ্যও আছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আবেগতাড়িত হয়ে এবং পেশাগত কারণেও এই সীমান্তবর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আসা-যাওয়ার সংস্কৃতি আছে। যেটা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সীমান্ত বা ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তের মধ্যে রয়েছে, সে রকম বাংলাদেশ-ভারতের সংস্কৃতির মধ্যে কিন্তু কোথাও সংঘাতের আবহ নেই। আর এটা না থাকার ফলে অনেক সময় যে খুব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষ এই দুই দেশে আসা-যাওয়া করে, তেমনটা নয়।

অবৈধভাবে সীমান্ত পেরোতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল ফেলানী খাতুন।

সীমান্ত পারাপারে অনুশাসন নিশ্চয়ই থাকা উচিত। কিন্তু মানবাধিকারকর্মীদের প্রশ্ন, নিরস্ত্র কিশোরী ফেলানীকে কেন সরাসরি বুকে গুলি করা হলো? মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট এখন এই মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তবে কভিড হেতু তা আপাতত স্থগিত। কোনো রকম মৌখিক সতর্কতা ছাড়া কর্তব্যরত প্রহরী সরাসরি ফেলানীর শরীর লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে—এমনটাই অভিযোগ।

২০১৫ সালে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানীর পরিবারকে ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিলেও অভিযোগ হচ্ছে, সেটা কার্যকর করা হয়নি। কমিশনের মন্তব্য হলো, দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে অত্যন্ত সংবেদনশীল দায়িত্ব পালন করে। সেই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও তাদের অনেক নিয়ম-বিধি মেনে চলা উচিত।

অনুপ্রবেশের সমস্যা নিশ্চয়ই রয়েছে। এর মধ্যে আর্থিক সমস্যাও জড়িয়ে রয়েছে। ভারতেরও একটা জিনিস বুঝতে হবে যে এটা কিন্তু ভারতের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। তার কারণ বাংলাদেশের এই সীমান্ত এখনো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সম্পূর্ণ নির্মাণ করা হয়নি। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের অজান্তেও পাকিস্তান যদি কোনোভাবে বাংলাদেশের জমিকে ব্যবহার করে, পাকিস্তান যদি কোনোভাবে এই পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতের মধ্যে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ঘটায় তবে সেটাও কিন্তু খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়।

তবে আশার বিষয় এই যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সে ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন। সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়েছে। যার ফলে কোনো রকম পাক-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলে শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশও সে ব্যাপারে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অতীতেও নানা ঘটনার মধ্যে তেমনটা দেখা গেছে।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকা শহরের মধ্যে যে ভয়ংকর টেরর অ্যাটাক হয়েছিল, যেখানে ১৩ জন হোস্টেসকে রক্ষা করতে পারলেও বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী ২০ জন হোস্টেসকে রক্ষা করতে পারেনি। সেখানে ভয়াবহ সেই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেই টেরর অ্যাটাকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিএসএফ, সাংঘাতিকভাবে সীমান্তকে সিল করার চেষ্টা করে এবং সব রকমের ব্যবস্থা নেয়। তখন দেখা গিয়েছিল, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী এবং ভারতের আধাসামরিক বাহিনী হাতে হাত মিলিয়ে এই টেরর অ্যাটাকের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার সব দিক মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছিল। সুতরাং এমন নয় যে এসব ঘটনা ঘটে না। বাংলাদেশ এবং ভারত—এই দুটো দেশের মধ্যে বোঝাপড়াটা অনেক বেশি জরুরি। যেমন—একবার অভিযোগ উঠেছিল, বিএসএফের একজন কর্মীকে বিজিবি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছিল। সেটা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল এর মূল কারণটা হচ্ছে, একটা শান্তি বৈঠক ছিল, ফ্ল্যাগ মিটিং ছিল। ওখানে মাছ চাষের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় মৎস্য চাষিরা সেখানে যায় এবং তাদের আটক করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তাদের মুক্তির দাবিতে যখন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টা চলে, সে সময় একটা সীমান্তবর্তী সংঘর্ষ হয় এবং বিএসএফের এক ব্যক্তি প্রাণ হারায়। তখন সেই পদ্মায় মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তবর্তী একটা টেনশন তৈরি হয়।

এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, সম্প্রতি ভারতের ভেতরেও বিএসএফের যে কতটা ভূখণ্ড তারা ব্যবহার করতে পারে, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মধ্যে সেটা নিয়েও ভারতের ভেতরেও কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিএসএফের এই নিয়ন্ত্রণের জমি বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। মমতা সরকার বিএসএফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। যেখানে গরুপাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বলেছে, বিএসএফের একাংশ এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে। সুতরাং সেখানে কিন্তু সরষের মধ্যেও ভূত আছে। ফলে সেটা নিয়ে বিএসএফের ভেতরেও অনেক রকমের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক খোলামেলা আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে আরো অনেক বেশি আলোচনা যদি করা যায় তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতির সমাধান হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ‘আমার জগত’ শীর্ষক রচনায় বলেছিলেন, ‘কাছে থেকে কেবল অংশকে দেখা যায়। দূরে না দাঁড়ালে সমগ্রকে দেখা যায় না। ’ সুতরাং আমরা যখন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে বিএসএফ এবং বিজিবিকে খুব কাছ থেকে দেখার চেষ্টা করি তখন সমগ্রটা দেখা যায় না। সে জন্য ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বৃহৎ প্রেক্ষাপটে একটু দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতে পারলে, সে সমস্যা সমাধানের রাস্তাটাও বোধ হয় অনেক সহজ হতে পারে। আজকের দিনে আন্তর্জাতিক যে প্রেক্ষাপট, সেদিক থেকে দেখতে গেলে দুই দেশের মধ্যে এই বোঝাপড়াটা অনেক বেশি জরুরি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments