Tuesday, April 16, 2024
spot_img
Homeধর্মশামুক ও ঝিনুক দিয়ে ঘর সাজানোর বিধান

শামুক ও ঝিনুক দিয়ে ঘর সাজানোর বিধান

সাগরে জোয়ারের সময় শামুক-ঝিনুকগুলো সাগরের উপকূলে ভেসে আসে। ভোরে এগুলো সংগ্রহ করা হয়। এসবের মধ্যে আছে কাঁটা শামুক, কড়ই, কালো প্রবাল, করতাল, আংটি শঙ্খ, ছাদক শঙ্খ, জিঙ্গর শামুক, ক্যাঙ্গারু, রাজমুকুট, বিচ্ছু, বাঘমাড়ি, মালপুরি, নীল শামুক ও লাল শামুক। সারা বছর এগুলো দিয়ে নানা ধরনের উপকারী ও দৃষ্টিনন্দন জিনিস তৈরি করেন শিল্পীরা।

এগুলো সব মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দান। সুতরাং আমরা এগুলোকে নারীদের অলংকার, বাড়ির ব্যবহার্য সামগ্রী বা ঘরের শোভা বর্ধনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারি। ইসলামের দৃষ্টিতে এতে কোনো আপত্তি নেই। পবিত্র কোরআনে এসেছে, তিনি (আল্লাহ) পৃথিবীর সব কিছু তোমাদের কল্যাণে সৃষ্টি করেছেন…। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৯)

সাগরে পাওয়া যায় অত্যন্ত মূল্যবান অলংকারসামগ্রী। এগুলো মানুষের জন্য আল্লাহর দান। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সাগরকে (তোমাদের) অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা গোশত আহার করতে পারো এবং যাতে তা থেকে রত্নাবলি আহরণ করতে পারো, যা তোমরা অলংকাররূপে পরিধান করো। তোমরা দেখতে পাও সমুদ্রের বুক চিরে জলযান চলাচল করে। এটা এ জন্য যে যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং তোমরা যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৪)

সুতরাং সাগরবক্ষ থেকে সংগৃহীত আল্লাহর দেওয়া এসব নিয়ামত দ্বারা প্রস্তুতকৃত মালা, দুল, চুড়ি, ব্রেসলেট, ক্লিপ, ল্যাম্পশেড, ঝাড়বাতি ইত্যাদি তৈরি, ক্রয়-বিক্রয়, ঘরে সংরক্ষণ ও ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments