ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বাগদত্তা জর্জিনা রদ্রিগেজকে ‘খারাপ মহিলা’ বলে সম্বোধন করেছেন তার চাচা জেসাস হার্নান্দেজ। তিনি বলেন, জার্জিনার বাবা যখন জেলে ছিল তখন তাকে লালন পালন করে বড় করেছি। কিন্তু রোনালদোকে পাবার পর জর্জিনা চাচার পরিবারকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
মাদক চোরাচালানের অপরাধে জেল খাটতে হয় জর্জিনার বাবাকে। তখন ভাতিজির দায়িত্ব নেন চাচা হার্নান্দেজ। তাকে নিজ মেয়ের মতো মানুষ করে তুলেন। পরিণত বয়সে অনেকটা সিনেমার গল্পের মতোই জর্জিনার জীবনে এসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বসেরা ফুটবলারের প্রিয়তমা হয়ে অর্থ-বিত্ত, সম্মান সবই পেয়েছেন জর্জিনা।কিন্তু, তার চাচার অভিযোগ ভাতিজি এখন তাদের পরিচয় দিতেও লজ্জাবোধ করেন। জেসাস হার্নান্দেজ বলেন, ‘সে আমাদের নিয়ে লজ্জাবোধ করে। নিজেকে আমাদের চাইতে সেরা ভাবে। কারণ আমরা তার মতো জাঁকজমকপূর্ণ জীবন-যাপন করি না। আমি কখনো তার কাছে কিছু চাইনি। রোনালদোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর এখন পর্যন্ত সে এক কি দুইবার আমাকে কল দিয়েছিল।’
রোনালদোর সৎ বোন প্যাট্রিসিয়া রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমার ছেলের জন্মদিন ছিল। আমি তাকে (জর্জিনা) বললাম, আমার ছেলেকে রোনালদোর সাইন করা একটা টি-শার্ট এনে দাও না। সে ‘না’ বলে দিলো।’
জর্জিনার দাদা মারা গেছেন তিন বছর আগে। জর্জিনার বাল্যকাল কাটে কষ্টে। স্পেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জাকায় বেড়ে ওঠেন তিনি। তার স্প্যানিয়ার্ড মা অ্যানা মারিয়া হার্নান্দেজ সম্পর্কে জড়ান আর্জেন্টাইন বাবা জর্জের সঙ্গে। জর্জিনার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগে স্পেন থেকে ১ লাখ কোকেন পাচারের সময় পুলিশের হাতে আটক হন জর্জ। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময় জর্জিনা পেশা হিসেবে প্রথমে বেছে নেন বেলি ড্যান্সকে। ব্রিস্টলে শিশু পরিচর্যাকারী (বেবি সিটার) হিসেবেও কাজ করেছেন। মডেল হওয়ার পর স্পেনে ফিরে যান তিনি। সেখানকার গুচ্চি স্টোরে কাজ নেন। রোনালদো প্রায়ই ওই স্টোরে শপিংয়ে যেতেন। ঘটনাক্রমে জর্জিনাকে ভালো লেগে যায় তার। এরপর থেকে চার সন্তান নিয়ে সুখেই আছেন এই জুটি।
২০১৭তে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন জর্জিনা। অক্টোবরে রোনালদো জানান, জর্জিনা জমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন। এর আগে ‘সারোগেট’ পদ্ধতিতে জমজ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন রোনালদোর। তার বড় ছেলে ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেন। তার মায়ের পরিচয় কখনো প্রকাশ করেননি এই ফুটবল তারকা।