হোমগ্রাউন্ডে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের গলাফাটা সমর্থন পেয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বল দখল এবং আক্রমণেও এগিয়ে ছিল দিয়েগো সিমিওনের দল। তবুও রিয়াল মাদ্রিদকে হারাতে পারেনি তারা। রোববার রাতে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাটলেটিকোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
ম্যাচজুড়ে ৫৪ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে ১২টি শট নেয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বিপরীতে ৪৬ শতাংশ বল দখলে রাখা রিয়াল মাদ্রিদ ৬টি শটের ৩টি রাখে লক্ষ্যে। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেদেরিকো ভালভার্দে। ৮৩তম মিনিটে মারিও হারমোসোর গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। তবে রিয়ালের গোলমুখে প্রচেষ্টা চালিয়েও সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে অ্যাটলেটিকোর একমাত্র স্কোরার হারমোসো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
মাদ্রিদ ডার্বিতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ওপর নজর ছিল সবার।
সাম্বা নাচে সেলিব্রেশনের জন্য সপ্তাহব্যাপী আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ভিনি গোল করতে না পারলেও তাকে শুনতে হয়েছে অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের দুয়ো। ভিনিসিয়ুসকে নিয়ে বর্ণবাদী গান গেয়েছে তারা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে বানরও বলেছে অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা। প্রথম গোলের পর অবশ্য সাম্বা নাচেই উদ্যাপন করেছেন ভিনি-রদ্রিগো। ম্যাচের শেষ দিকে ভিনিকে নিয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিলেন অ্যাটলেটিকো সমর্থকরা। ডার্বি জিতে ভিনিসিয়ুসরা অবশ্য মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছেন।
রিয়ালের দ্বিতীয় গোলে অ্যাসিস্ট করা ভিনিসিয়ুসই কোচ কার্লো আনচেলত্তির কাছে ম্যাচসেরা, ‘আমি মনে করি ওই পরিস্থিতিতে বল আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেত। কিন্তু নামটা যখন ভিনিসিয়ুস, আমি ওর প্রতিভাকে কোনো গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ করব না। তার প্রতিভার ঝলকেই আমরা ২-০ করতে পেরেছিলাম। আর ওই দ্বিতীয় গোলটিই আমাদের ডার্বি জিতিয়েছে।’
আনচেলত্তি দুই গোলদাতা রদ্রিগো ও ভালভার্দেরও প্রশংসা করেন, ‘এ দুজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আধুনিক ফুটবলারদের যা থাকা দরকার,তার সবকিছুই ওদের আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, আমরা সবাই খুব খুশি।’
স্প্যানিশ লা লিগায় টানা ৬ জয়ে বার্সেলোনাকে টপকে শীর্ষস্থান পুনোরুদ্ধার করল রিয়াল মাদ্রিদ। পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট লস ব্লাঙ্কোদের। ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ ড্রয়ে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে বার্সা। ৬ ম্যাচে ৩ জয় ১ ড্র ও ২ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।