আল্লাহ ফেরেশতাদের যেসব উত্তম গুণাবলি দান করেছেন, তার মধ্যে লজ্জা অন্যতম। তারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে লজ্জাবোধ করে থাকে। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে শুয়ে ছিলেন, তাঁর উরু কিংবা পায়ের নলা উন্মুক্ত ছিল। আবু বকর (রা.) এসে অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন এবং এ অবস্থাতেই কথোপকথন করলেন।
তারপর ওমর (রা.) অনুমতি চাইলে অনুমতি দিলেন এবং এ অবস্থায়ই কথাবার্তা বললেন। উসমান (রা.) অনুমতি চাইলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) উঠে বসলেন এবং তাঁর কাপড় ঠিক করলেন। বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেন, এ বিষয়টি একই দিনে ঘটেছে বলে আমি দাবি করি না। অতঃপর উসমান (রা.) এসে কথা বলে চলে যাওয়ার পর আয়েশা (রা.) বললেন, আবু বকর (রা.) এলেন, আপনি তাকে কোনো গুরুত্ব দিলেন না ও ভ্রুক্ষেপ করলেন না, ওমর (রা.) এলেন আপনি তাকেও কোনো গুরুত্ব দিলেন না ও ভ্রুক্ষেপ করলেন না। উসমান (রা.) প্রবেশ করতেই আপনি উঠে বসলেন এবং জামা ঠিক করে নিলেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আমি কি সে লোককে লজ্জা করব না, ফেরেশতারা পর্যন্ত যাঁকে দেখলে লজ্জা পান। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬১০৩)
ইমাম নববী (রহ.) বলেন, এই হাদিস দ্বারা উসমান (রা.)-এর মর্যাদা ও ফেরেশতাদের কাছে তাঁর বিশেষ অবস্থান প্রমাণিত হয়। আর এটা প্রমাণিত হয় যে লজ্জা ফেরেশতাদের একটি প্রশংসনীয় গুণ। (শরহু মুসলিম : ১৫/১৬৮)