Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeনির্বাচিত কলামযুক্তরাষ্ট্রই কি ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রধান বাধা

যুক্তরাষ্ট্রই কি ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রধান বাধা

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আট মাস পার হয়ে যাওয়ার পরও পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, তা নিয়ে বিশ্বনেতারা থেকে শুরু করে সামরিক বিশেষজ্ঞরা একেকজন একেক রকম বিশ্লেষণ দিচ্ছেন। তাতে বোঝা যাচ্ছে, এসব বিশ্লেষকের ভেতর যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো একই সুরে কথা বললেও তাদের সামরিক বিশ্লেষকরা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতপ্রকাশ করছেন। আমেরিকান সেন্টার ফর ডেমোক্রেসির সিনিয়র ফেলো স্টিফেন ব্রায়ানের মতে, আসন্ন শীতে ইউরোপে রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। এর জের ধরে ইউরোপীয়রা ইউক্রেনের ভবিষ্যতের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংহতি ধরে রাখতে সক্ষম হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে সমর্থন করা অব্যাহত রাখে এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির বিরোধিতাকে উৎসাহিত করতে থাকে, তাহলে ইউরোপের কিছুসংখ্যক দেশ আসন্ন শীত মৌসুমে জ্বালানি সংকট থেকে নিজেদের রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরে গিয়ে রাশিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। এরকম পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি হয়, তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন একটি মাত্রা যুক্ত হবে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো জেলেনস্কিকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার এবং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য উৎসাহিত করে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া লুহান্স্ক ও দনবাসের অবশিষ্ট ভূমি দখল করে একীভূত করার চেষ্টা করে যাবে। এ মুহূর্তে আজভ সাগর ও কৃষ্ণসাগর বরাবর দক্ষিণাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। রাশিয়া যদি ক্রিমিয়ার মতো এ অঞ্চলটিকেও নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে, তাহলে পশ্চিমের খেরসন থেকে মারিউপোল এবং সীমান্তের ওপারে রুশ শহর রোস্তম-অন-দন পর্যন্ত অবস্থিত শহরগুলোকে সংযুক্ত করতে পারবে। যে গুরুত্বপূর্ণ শহরটি এখন পর্যন্ত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নিতে পরিকল্পনা করছে তা হলো ওদেসা। ওদেসার ওপর রাশিয়া আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করছে। এমন সম্ভাবনা আঁচ করে ইউক্রেন দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়াকে ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক কৌশল ও আইন বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ফ্রাঙ্কলেড উইজের মতে, রাশিয়া এখন নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতিতে ভুগছে। এরপরও তাদের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে আঘাত হানছে। তার মতে, সেনা ব্যবস্থাপনা ও কার্যকরভাবে যুদ্ধের রসদ সহায়তা যথাযথভাবে সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর তেমন সুখ্যাতি নেই। এ বাস্তবতায় ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনারা কীভাবে টিকতে পারবেন, তা এখন অনেক বড় প্রশ্ন। তিনি আরও মনে করেন, ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও যুদ্ধের গতিবেগ এখনো ইউক্রেনের দিকেই। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জয়-পরাজয়ের সবচেয়ে বড় নিয়ামক ‘নৈতিক জোর’, যা তাদের পক্ষেই কাজ করছে। যে কথাটি স্বীকার করতেই হবে তা হলো, ইউক্রেনের সৈন্যরা তাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছে এবং অতিসম্প্রতি তারা রাশিয়ার কাছ থেকে দখলকৃত বেশকিছু ভূমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষমও হয়েছে। তারা নৈতিকতা বজায় রেখে সঠিক সামরিক নেতৃত্বের অধীনে এগিয়ে যাচ্ছে।

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বরাবরই মনে করেন, রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকা বিশ্বে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। তারা আরও মনে করেন, আট মাস যুদ্ধ করে বর্তমানে বোধহয় রাশিয়ার এ আগ্রাসী মনোভাবে টান পড়েছে। এর অন্যতম কারণ, তাদের ভাষায়, রাশিয়ার অস্ত্রভান্ডার হয়তো ফুরিয়ে এসেছে। এ কারণে দ্রুত নতুন অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামাদি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের মতে, অস্ত্র সংকটে রুশ সেনাদের পুরোনো ও অব্যবহারযোগ্য অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য করেছে রুশ সেনাবাহিনী। নতুন রিক্রুটকৃত সেনাদলকে সামান্য কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের প্রথম সারিতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইউক্রেন বাহিনী বেশকিছু ভূমি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।

পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুল করছেন অথবা এড়িয়ে যাচ্ছেন, যা হলো, রাশিয়া কি প্রথম থেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করেছে? কারণ রাশিয়া মনে করে, শুধু মনে করেই না, যুদ্ধের আগেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা ইউক্রেনকে নানাভাবে উসকানি দিয়ে রাশিয়াকে বাধ্য করছে যুদ্ধের পথে পা বাড়াতে। শেষ পর্যন্ত তাই-ই ঘটেছে। যুদ্ধ বাধিয়েই তারা বসে থাকেনি; ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। শুধু তাই নয়, জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যাতে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতিতে না যান, সে ব্যাপারেও তাকে উৎসাহিত করেছে। এমনটি করার কারণ কী? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা চেয়েছে, রাশিয়া যেন দীর্ঘ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ খরচ করে, যাতে তাদের অস্ত্রভান্ডারে টান পড়ে। রাশিয়া তাদের সেই ফাঁদে পা দেয়নি। যে কারণে তারা হয়তো আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র মজুত থাকা সত্ত্বেও অস্ত্রের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই সেসব পুরোনো অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে।

তবে এ কথা ঠিক যে, কোনো রাষ্ট্র যখন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন যুদ্ধের ময়দানে অবিরাম অস্ত্র ও যুদ্ধের রসদ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। তা না হলে পরাজয় অবধারিত। এজন্য অস্ত্রভান্ডার পরিপূর্ণ রাখা জরুরি। রাশিয়ার মতো আধুনিক অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশের জন্য দ্রুতগতিতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি ও সরবরাহ করা কঠিন কাজ নয়। আসন্ন শীত মৌসুমে সর্বক্ষেত্রে গতি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে দ্রুত অস্ত্রশস্ত্র তৈরি ও সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ভ­াদিমির পুতিন একটি নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। রণকৌশলের বিবেচনায় সব পক্ষকেই কৌশলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। যে কোনো যুদ্ধে গতি ও ক্ষিপ্রতা প্রয়োজন। তীব্র শীতের মধ্যে এগুলোর যে কোনোটি অর্জন করা অনেক কঠিন। কিছুদিনের মধ্যেই ইউক্রেনে তীব্র শীত নামবে। মাইনাস ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শরীরকে উষ্ণ রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। শীতকালের এ ভয়াবহতা নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ফলে এ সময় যুদ্ধের গতি অনেকটাই ধীর হয়ে যাবে। এ পরিস্থিতি মাথায় রেখে পুতিন সর্বক্ষেত্রে গতি অর্জনের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে শুধু অস্ত্রই নয়; পাশাপাশি শীতের তীব্রতাকে সামাল দিতে অন্যান্য সামগ্রী তৈরির উদ্যোগও নিয়েছেন। তবে এ শীতের তীব্রতায় যুদ্ধের গতি ধরে রাখা ইউক্রেন বাহিনীর জন্যও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। দীর্ঘতম শীতে ইউক্রেনের নাগরিকদের টিকে থাকার লড়াই অনেক কঠিন হতে চলেছে। কারণ রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনজুড়ে ৪০ শতাংশের ওপর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু না থাকলে এই শীতে তাদের টিকে থাকা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও কানাডা তাদের আধুনিক ও কার্যকর সামরিক মজুত থেকে ইউক্রেনকে পাঁচ লাখ সেট শীত মোকাবিলার সাজসরঞ্জাম দিয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র ও তার কিছু মিত্ররাষ্ট্রও ইউক্রেনকে শীতবস্ত্র দিয়েছে, তবে তা যথেষ্ট নয় বলে প্রতীয়মান হয়।

ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতার মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর ১০১ এয়ারবর্ন ডিভিশনের সেনাসদস্য নিয়োজিত করার ঘটনা এ সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জানা যায়, প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সৈন্য ন্যাটোর পূর্বদিকে শক্তিশালী করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেলে বা ন্যাটো সদস্যরাষ্ট্রের ওপর হামলা হলে ইউক্রেনে প্রবেশের জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে ১০১ এয়ারবর্ন ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জন লুবাস জানিয়েছেন। পুতিনের পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সন্দেহ নেই। পুতিন যতই পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের হুমকি দেন, বাস্তবে তা কার্যকর হবে বলে মনে হয় না। তার এ হুমকি রণকৌশলের একটি অংশ হিসাবেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। যদিও পশ্চিমা বিশ্বের অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তেজস্ক্রিয় পদার্থমিশ্রিত ‘ডার্টি বোমা’ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরির উদ্দেশ্যে। পুতিনের এত হুমকি-ধমকির মাঝেও সমঝোতার পথটি কিন্তু তিনি খোলা রেখেছেন। গত ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। অনেকের ধারণা, যুদ্ধের সমঝোতার জন্য হয়তো উভয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে এ যোগাযোগ হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ফোনালাপ ছিল।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তার মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় পুতিনকে অনেক বেশি নমনীয় মনে হয়েছে। তার এ বক্তব্যের যৌক্তিকতা পাওয়া যায় গত ২১ অক্টোবর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্রের বক্তব্যে। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘শুরু থেকেই পুতিন আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন, পুতিনের সেই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’ প্রশ্ন হচ্ছে, রাশিয়া চাইলেই কি যুদ্ধবিরতির সমঝোতা সম্ভব? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যেখানে অব্যাহতভাবে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জমাদি সরবরাহ করে জেলেনস্কিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে এবং এ যুদ্ধকে জিইয়ে রেখে রাশিয়াকে আরও দুর্বল করতে চাচ্ছে, সেখানে এ মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির কোনো উদ্যোগ সফল হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ঠিকই তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে চলেছে। গত ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে ওয়াশিংটন। তবে এ মুহূর্তে ‘অর্থবহ সংলাপের’ জন্য রাশিয়ার আগ্রহী হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখানে ‘অর্থবহ সংলাপ’ বলতে যুক্তরাষ্ট্র কী বুঝিয়েছে, তা স্পষ্ট না হলেও অনুমান করতে সমস্যা কোথায়? যুক্তরাষ্ট্র অর্থবহ সংলাপ বলতে কি এই বুঝিয়েছে যে, রাশিয়াকে ইউক্রেনের দখলকৃত সব ভূমি ছেড়ে দিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে এবং ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্তিতে রাশিয়ার কোনো আপত্তি থাকবে না? এর অর্থ যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমা বিশ্ব হয়তো এটাই চাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য যদি তা-ই হয়, তাহলে আসন্ন শীতে ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে মোড় নেয়, তা দেখার জন্য আমাদের হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments