সপ্তম ব্যালন ডি’অর শোকেজে তুলেছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। বর্ষসেরার তালিকায় ষষ্ঠ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বছরের খেতাবগুলোতে সিআরসেভেনের সম্ভাবনা কম থাকলেও মেসি-লেভার লড়াইটা অনুমেয়ই। তবে দুবাই গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডের ছোঁয়া পাননি তিনজনের কেউ, পুরস্কার উঠেছে কিলিয়ান এমবাপ্পের হাতে।
সংবাদমাধ্যম গ্লোব সকার এই পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। সেরা খেলোয়াড় বাঁছাই করতে তাদের সঙ্গে ছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাও। তবে ব্যালন ডি’অরের মতো সাংবাদিক, জাতীয় দলের অধিনায়ক ও কোচের ভোটে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়নি। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের জন্য তারা আয়োজন করে উন্মুক্ত ভোটের।যেখানে প্রায় ৫০ লাখ ফুটবল সমর্থক ভোট দেন। গত ২০ ডিসেম্বর এ ভোটাভুটি শেষ হয়। আর সোমবার রাতে ঘোষণা করা হয় ভোটের ফলাফল।
ফরাসি লিগ ওয়ানে গত মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন এমবাপ্পে। লীগে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করে পিএসজিকে রানারআপ করতে বড় অবদান ছিল ফরাসি স্ট্রাইকারের। তাছাড়া উয়েফা ন্যাশনস লীগেও দুর্দান্ত ফ্রান্সের হয়ে অনবদ্য পারফর্ম করেন এমবাপ্পে। গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড জিতে আনন্দিত তিনি। এমবাপ্পে বলেন, ‘দুবাই আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্রথমত সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ফুটবলের অনেক বড় তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের দেখা পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত।’
এমবাপ্পে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি আমার ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা গত পাঁচটি বছর আমাকে ভরসা করেছে। আমার জাতীয় দল এবং সংশ্লিষ্ট সবার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বিশেষ করে আমার পরিবারকে, সর্বদাই আমি তাদের সঙ্গ পেয়েছি।’
এই পুরস্কার আগামীর জন্য এমবাপ্পের আত্মবিশ্বাসের রসদ। এমবাপ্পে বলেন, ‘এখানে আসতে পারাটা গর্বের। এই খেতাব আমার জন্য অনাগত ভবিষ্যতের প্রেরণা।’
সেরা খেলোয়াড় ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। সেখানে ফ্যানস প্লেয়ার অব দ্য অ্যাওয়ার্ড ও ম্যারাডোনা অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন ইতালির জিয়ানলুইগি দোনারুম্মা, সেরা জাতীয় দল হয়েছে ইউরোজয়ী ইতালি। আর সেরা ক্লাব নির্বাচিত হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেলসি।