মেটাকে ২৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে আয়ারল্যান্ডের সরকারি সংস্থা ডাটা প্রটেকশন কমিশন (ডিপিসি)। গত বছর ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা অনলাইনে একটি হ্যাকিং ফোরামে আপলোড করে হ্যাকাররা। স্ক্র্যাপ করে তথ্য নেওয়ার ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত বছর তথ্যগুলো অনলাইন হ্যাকিং ফোরামে আপলোড করা হয়।
এরই জের ধরে ২০২১ সালের এপ্রিলে ফেসবুকের (বর্তমানে মেটা) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সে সময় ফেসবুক জানায়, হ্যাক করে নয়, বরং স্ক্র্যাপ করে তথ্য নেওয়া হয়। ওয়েব স্ক্র্যাপিংয়ের জন্য স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়। এই সফটওয়্যার সাধারণ মানুষের জন্য অনলাইনে উন্মুক্ত থাকা তথ্য নেয়। পরে এসব তথ্য বিক্রির জন্য হ্যাকিং ফোরামে আপলোড করা হয়। ডিপিসির কমিশনার হেলেন ডিক্সন জানান, তথ্য উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় ব্যবহারকারীরা স্ক্যামিং, স্প্যামিং, ফিশিংয়ের খপ্পরে পড়ে এবং ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারায়। তাই সব মিলিয়ে মেটাকে এই পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়। তিনি আরো বলেন, বিশাল আকারের ডাটাবেইস ও প্ল্যাটফরমটিতে স্ক্র্যাপিংয়ের পূর্ব ইতিহাস ছিল। চাইলে আরো কম সময়ের মধ্যে ঘটনাটি শনাক্ত করা যেত। এর জবাবে মেটা জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলাকালীনই স্ক্র্যাপ করে তথ্য নেওয়ার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি