Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeবিনোদনমুরাদের ওপর ‘খোদার গজব’ পড়ছে, বললেন মালেক আফসারী

মুরাদের ওপর ‘খোদার গজব’ পড়ছে, বললেন মালেক আফসারী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফাঁস হওয়া অডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়। বিকৃত, যৌন হয়রানিমূলক ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। অশালীন ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

এদিকে জনপ্রিয় নির্মাতা মালেক আফসারী তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন মুরাদ হাসানকে নিয়ে। তার মন্ত্রিত্ব থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে ভিডিও বার্তায় নানা ধরণের কথা বলেছেন তিনি। মালেক আফসারীর ভিডিও বার্তাটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি প্রায় ১৮ মিনিট কথা বলেছেন। সেখান থেকে উল্লেখ্যযোগ্য কথাগুলো ইনকিলাব পাঠকদের জন্য প্রকাশ কথা হলো।

আফসারী বলেন, “একজন প্রশ্ন করেছে এই যে আপনাকে টাকলা মুরাদ বলে, এতে আপনার কেমন লাগে? এই প্রশ্নের উত্তরে মুরাদ বলেন, ‘আমাকে কেউ যদি টাকলু বললে, আই ডোন্ট মাইন্ড, আমি প্রাউড ফিল করি।’ বেশ কয়েক দিন আগে মৌসুমীর ফিগার নিয়ে কথা বলছে, সে নাকি একটা মন্ত্রী! আবার বলছে সুপারস্টার শাকিব খান কে? সে নাকি তেলাপোকার মতো নাচানাচি করে, অভিনয় করে। এখন শাকিব খান বলছে, কী আর করব একটা কিছু তো করে খেতে হবে, বেঁচে থাকতে হবে। মন্ত্রীরে তো সবাই ডরায়, শাকিব খান তো বলবেনই। মাহি একটা ভিডিও পাঠিয়েছে একদম মক্কা শরীফ থেকে। সেখান থেকে কী কেউ মিথ্যা বলতে পারে? আমি বিশ্বাস করতে চাই না। সে (মাহি) বলছে আমার ওপর জুলুম হইছে, আমার কিছু বলার ছিল না, আমি পরিস্থিতির স্বীকার।’’

তারপর আবারও মালেক আফসারী বলেন, ‘‘প্রথমেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে, একদম বুকের ভিতর থেকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ উনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ব্যাপরটা নজরে নিয়েছেন। এবং তাকে সময় বেঁধে দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছেন। মুরাদ সাহেব এখন বুঝবেন, খোদার গজব কাকে বলে! আপনি তো কিছুই মানতেন না। সীমালঙ্ঘন করতে করতে আপনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, না কানে শুনতেন, না চোখে দেখতেন। এমনকি নিজের দলে নারী নেত্রীদের নিয়েও যে বাজে কথা বলেছেন, এ কী মানুষের পক্ষে সম্ভব? ’’

ডা. মুরাদের লাইভে বলা একটি সাক্ষাৎকারের কিছু শুনিয়ে তিনি আবারও বলেন, ‘‘হ্যাঁ, ফাইভ স্টার হোটেল তো শুধু আপনারই জন্য, আপনিই সব মজা লুটতেছেন। আচ্ছা উনি একজন মন্ত্রী ছিলেন, সব জায়গাতে সোনার গাঁও হোটেলের কথাই শুধু সে বলছে, ওনার কোনো কাজ নাই, কোনো বাসা বাড়ি নাই, পরিবার নাই? কি করতো সে? এই হোটেলের মধ্যে বসে থেকে সবাইরে ফোন করে সে বিরক্ত করত। এটাই হচ্ছে আসল কথা। ক্ষমতা পেয়ে তার পুরো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন তিনি। শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ এমনটা না করতে পারে। তথ্যমন্ত্রণালয়ের অধিনেই বাংলাদেশের সম্প্রচারের, সংস্কৃতির সব কিছু। এই লোক আরও কিছুদিন থাকলে তো সংস্কৃতিটাই নষ্ট হয়ে যেত। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, দেশকে আগে ভালোবাসতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। সবাইকে সম্মান করতে হবে। সে আপনি যে পদেই থাকুন না কেন।’’

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments