Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeলাইফস্টাইলমুখ ও দাঁতের যত্ন কীভাবে নেবেন

মুখ ও দাঁতের যত্ন কীভাবে নেবেন

অনেকে মনে করেন শিশুর দুধ দাঁতের স্থায়িত্বকাল কম বলে যত্নের প্রয়োজন নেই। বাস্তবতা হলো শিশুদের দুধ দাঁতগুলো পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দাঁতগুলোকে সুস্থ রাখতে হবে।

কারণ :

যথাযথ পুষ্টির জন্য : সুস্থ দাঁত খাদ্যকে উপযুক্ত চর্বণের মাধ্যমে হজমোপযোগী করে, খাবারের ইচ্ছা ও রুচিকে স্বাভাবিক রাখে।

স্থায়ী দাঁতের ওপর বিরূপ প্রভাব : দুধ দাঁতের শিকড়ের নিচে স্থায়ী দাঁতের গঠন শুরু হয়, দুধ দাঁতের সংক্রমণ স্থায়ী দাঁতকে ক্ষতি করতে পারে আবার স্থায়ী দাঁত এলোমেলো বা উঁচু-নিচু হওয়ার অন্যতম কারণ দুধ দাঁত আগে বা পরে পড়ে যাওয়া।

স্পষ্ট উচ্চারণ ও মুখমণ্ডলের আকৃতি : স্বাভাবিক ভাবে কথা বলা, কবিতা আবৃতি বা গান গাওয়া ও চোয়ালের গঠন ও মুখের আকৃতি ঠিক রাখতে দুধ দাঁতের সুস্থতা জরুরি। স্থায়ী দাঁতকে সঠিক স্থানে আসার দিকনির্দেশনাও দেয় দুধদাঁত।

মানসিক বিকাশ : শিশুর মানসিক বিকাশ, স্মৃতি শক্তি, আত্মবিশ্বাস, প্রাণ সঞ্চলতা, লেখাপড়ায় মনোনিবেশসহ মানসিক বিকাশে অস্থায়ী দুধদাঁত ভূমিকা রাখে।

দাঁতের যে কোন সংক্রমণ রক্ত বাহিকায় মিশে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে আক্রান্ত করতে পারে যেমন হার্ট, মস্তিষ্ক, হাড়, অন্যদিকে চোয়ালের হাড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে বড় ধরনের জটিলতা হতে পারে।

তাই গর্ভধারণের পর থেকে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার ও প্রসবের পর থেকে শিশুর মুখের পরিচর্যার সঠিক নিয়ম মানতে হবে। গর্ভবতীদের তিনবারের পরিবর্তে পাঁচবার অল্প অল্প করে খাবার দেওয়া উঠিত।

কারণ বমি বমিভাবের কারণে এবং খাবারে অরুচির কারণে অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের কেউ কেউ সামান্য খাবার খান বা একদম খেতে চান না। এসময় দাঁত ও মুখের যত্ন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য ফলিক এসিডের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে প্রথম তিন মাসে অবশ্যই ফলিক এসিড দেওয়া প্রয়োজন। সবার জানা থাকা প্রয়োজন যে, ফলিক অ্যাসিডের অভাব হলে ঠোঁট কাটা এবং তালু কাটা শিশুর জন্ম হতে পারে।

– ডা. মো. সাজেদুল আসিফ ফারজান

সহযোগী অধ্যাপক (সাবেক), চিল্ড্রেন প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড কমিউনিটি ডেন্টিস্ট্রি বিভাগ, পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments