মিসওয়াক করা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। মহানবী (সা.) থেকে মিসওয়াক প্রসঙ্গে ৪০টি হাদিস বর্ণিত আছে। তিনি বলেছেন, যখনই জিবরাইল (আ.) আমার কাছে আসতেন, তখনই আমাকে মিসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। এতে আমি আশঙ্কাবোধ করলাম যে (মিসওয়াক করে) আমি আমার মুখের সম্মুখ দিক ক্ষয় করে দেব (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ২২২৬৯)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে উঠতেন তখনই অজু করার আগে মিসওয়াক করতেন।
(আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাত, হাদিস : ৩৫২)
মহানবী (সা.) বলেছেন, নবী-রাসুলদের সুন্নত হলো চারটি। যথা—১. লজ্জা করা, অন্য বর্ণনায় খতনা করা, ২. সুগন্ধি ব্যবহার করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. বিয়ে করা, (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১)
মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, মিসওয়াক হলো মুখ পরিষ্কার করার উপকরণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায় (আহমদ, নাসায়ি, মিশকাত)
রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যত্র বলেছেন, যদি আমি আমার উম্মতের ওপর কষ্টকর মনে না করতাম, তবে অবশ্যই তাদের ইশার নামাজ বিলম্ব করার এবং প্রত্যেক নামাজের আগে মিসওয়াক করার আদেশ করতাম (বুখারি, হাদিস : ৮৮৭)
হুজায়ফা (রা) বলেন, মহানবী (সা.) যখন রাতে তাহাজ্জুত নামাজ পড়ার জন্য উঠতেন, তখন মিসওয়াক দ্বারা প্রথমে নিজের মুখ পরিষ্কার করতেন (বুখারি, মুসলিম, ৩৪৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ১০টি কাজ দ্বিনি স্বভাবের অন্তর্গত—১. গোঁফ ছোট করা, ২. দাড়ি লম্বা করা, ৩. মিসওয়াক করা, ৪. পানি দ্বারা নাক সাফ করা, ৫. নখ কাটা, ৬. আঙুল খেলাল করা, ৭. বগলের চুল উপড়ে ফেলা, ৮. গুপ্ত স্থানের চুল কাটা, ৯. পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করা ১০. কুলি করা। (মিশকাত, হাদিস : ৩৪৯)