প্রতিভা অন্বেষণের জাল এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশে। একাডেমি কাপের ছাতার নিচে আসছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেট শিক্ষায়তনগুলো। বিভাগীয় ও জাতীয়—দুই রাউন্ডের আসরে অংশ নিচ্ছে দেশের ৯৬টি একাডেমি। ২১ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের ঘোষণার দিনে ভবিষ্যতের তারকাদের একটি বার্তা দিয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ। সুযোগ-সুবিধা যেমনই থাকুক না কেন, মাঠের খেলোয়াড়ের নিজের শতভাগ আত্মনিবেদন থাকতে হবে—বলেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতার পর দেশের চলমান ক্রিকেট সিস্টেম তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছে। তবে মাহমুদের দর্শন হলো, ‘দিনশেষে পারফরম্যান্সটাই আসল। যদি ভালো পারফরম করেন, অবশ্যই আপনি নজরে থাকবেন। নিজের ওপরও অনেক কিছু থাকে যে আমি কিভাবে তৈরি হতে চাই, আমার লক্ষ্যটা কী? আমি আমাকে কিভাবে দেখছি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার জন্য—এই জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। শৃঙ্খলা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ, শুধু অনুশীলনে না। মাঠে এবং মাঠের বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ।’
মাহমুদের উত্থানের প্রথম সিঁড়ি ছিল একাডেমি কাপ। তখন এই টুর্নামেন্ট সীমাবদ্ধ ছিল ঢাকায়। এবার সেটির ব্যাপ্তি বাড়ানোয় আশাবাদী তিনি, ‘আমিও জাতীয় দলে ঢোকার আগে একাডেমি কাপ খেলেছিলাম। একাডেমি একটা ভালো মঞ্চ। মাঝে করোনার কারণে দুই বছর একাডেমি কাপ হয়নি। এবার আরো বড় পরিসরে হচ্ছে। এটা খুবই ভালো সুযোগ সবার জন্য।’
১৭ থেকে ২১ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের এই আসরের প্রথম পর্ব শেষে সাতটি বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর সেরা দুটি করে দল অংশ নেবে জাতীয় পর্যায়ে। শিরোপা নির্ধারণী এই শেষ রাউন্ডটি অনুষ্ঠিত হবে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
তরুণদের উজ্জীবিত করার পর বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন মাহমুদ, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপকে ঘিরে, ‘এটা নির্ভর করবে আমরা কেমন টি-টোয়েন্টি খেলছি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন খুব ভালো। এখন বিষয়টা আমাদের ওপর, কিভাবে আমরা হ্যান্ডল করি। আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে আরো ভালো করতে হবে। বোলিং ইউনিটে ধারাবাহিকতা আছে। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু অর্জন করতে পারব।’ মাহমুদের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় আপাতত দলকে অনুপ্রাণিত করাই প্রথম কাজ, ‘বিশ্বকাপ আর পাকিস্তান সিরিজে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে বছরের বাকি সময়টা আমরা ভালো খেলেছি। অতীতে আমরা কামব্যাক করেছি। ইনশাআল্লাহ এবারও পারব।’