যেকোনো ধর্মের উপাসনালয় ভেঙে ফেলা নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ। উপাসনালয় রক্ষায় প্রয়োজনে যুদ্ধ-জিহাদ বৈধ করে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। ইরশাদ করেন, ‘…আল্লাহ যদি মানবজাতির এক দলকে দিয়ে অন্য দলকে প্রতিহত না করতেন, তাহলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রিস্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনাস্থান, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় এবং মসজিদ—যেখানে বেশি স্মরণ করা হয় আল্লাহর নাম…। ’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৪০)
মসজিদ বিষয়ে বর্তমানে এতটা বেপরোয়া ভাব দেখা যায় যে ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক মসজিদ-স্থাপনাও নানা অজুহাতে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কোনো জোরালো প্রতিবাদ নেই। যারা ভাঙছে তাদের মনে সামান্য পরিমাণ কোনো দুঃখবোধও নেই। এখানে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মসজিদকে রাস্তা বানানো কিয়ামতের এক ভয়াবহ আলামত—
হাদিসে এসেছে, ওই পর্যন্ত কিয়ামত হবে না যে পর্যন্ত মসজিদকে রাস্তা বানিয়ে নেওয়া না হবে, যে পর্যন্ত ব্যক্তি শুধু পরিচিত ব্যক্তিকেই সালাম না দেবে, যে পর্যন্ত নারী ও তার স্বামী উভয়ে ব্যবসা না করবে, যে পর্যন্ত ঘোড়া [যানবাহন] ও নারীর মূল্য বৃদ্ধি না পাবে। অতঃপর মূল্য কমে যাবে, কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আর বৃদ্ধি পাবে না। (মুস্তাদরাক হাকিম, হাদিস : ৮৩৭৯)
আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে প্রথম দিনের চাঁদকে বড় দেখা যাবে। লোকেরা বলতে থাকবে যে এটা দ্বিতীয় দিনের চাঁদ। মসজিদকে রাস্তায় পরিণত করা হবে। আকস্মিক মৃত্যু বৃদ্ধি পাবে। ’ (আল-মুজামুল আওসাত লিত-তাবারানি, হাদিস : ৯৩৭৬)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে বা কিয়ামতের আলামত হলো মসজিদকে রাস্তায় পরিণত করা হবে। ’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস : ৩৪২০)