Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeনির্বাচিত কলামমন্ত্রী-এমপি নয়, ওসি-ডিসি-সচিবদের পিয়ন হতে চাই

মন্ত্রী-এমপি নয়, ওসি-ডিসি-সচিবদের পিয়ন হতে চাই

এমন একটা সময় ছিল যখন বহু মানুষ মন্ত্রী-এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন এবং সারাটি জীবন ধরে অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। যাদের মধ্যে প্রকৃতি প্রদত্ত নেতৃত্বের অনুপম গুণাবলি রয়েছে এবং রাজনীতি যাদের ভালো লাগে তারা সবাই মন্ত্রী-এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকতেন। এই সব স্বপ্নবিলাসী মানুষের কেউ হয়তো অক্ষরজ্ঞানহীন, কেউ বা সর্বোচ্চ শিক্ষিত অথবা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সফল। তারা যার যার অবস্থান থেকে আপন কর্মে সর্বোচ্চ সফলতা-দক্ষতা-সুনাম-সুখ্যাতি ইত্যাদি লাভ করার পরই কেবল মন্ত্রী-এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। আপনি যদি এই রকম স্বপ্নবিলাসী ১০ লাখ লোকের ওপর জরিপ চালান তবে দেখতে পাবেন যে, তাদের মধ্যে মাত্র একজনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে অথবা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অর্থাৎ রাজনীতিপ্রিয় এবং নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন মানুষজনের মধ্যে প্রতি ১০ লাখ লোকের মধ্যে মাত্র একজন মন্ত্রী-এমপি হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করে থাকেন।

রাজনৈতিক-নেতৃত্বের উল্লিখিত তথ্যটি লি কুয়ানের থিওরি হিসেবে চলমান সময়ে সারা দুনিয়াতে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমানের রাজনীতির ভগ্নদশা, গণতন্ত্রের সীমাহীন দুরবস্থা, পদে পদে মন্ত্রী-এমপিদের অপদস্থ হওয়া এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের বস্তুতে রূপান্তরিত হওয়ার গল্প যখন আরব্য রজনীর কাহিনী, সুলতান সুলেমান নাটকের চিত্ররূপ অথবা গডফাদার সিনেমার চেয়েও জনপ্রিয় হতে চলেছে সেখানে লি কুয়ানের থিওরি; অনুধাবন করতে আপনাদের যেন কষ্ট না হয় সে জন্য শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনার আগে রাজনীতি এবং নেতৃত্ব নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।

লি কুয়ানের থিওরি মতে- প্রকৃতিগতভাবেই প্রতি একজন লোকের মধ্যে মাত্র একজন মানুষ নেতৃত্বের গুণাবলি নিয়ে জন্মায়। বাকি ৯৯ জন লোকের জন্ম হয় অনেকটা আলু-মুলা-গাজর বা টমেটোর মতো। তারা জন্ম নেন কেবল মরে যাওয়ার জন্য এবং এসব তরকারি প্রকৃতির মানুষ কেবল নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু ভাবেন না এবং চোখের সামনে কেউ মারা গেলেও তাদের বিবেক নাড়া দেয় না। এই যে ১ শতাংশ লোক যাদের মধ্যে আল্লাহ নেতৃত্বের গুণাবলি দিয়েছেন তারা নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে চিন্তা করে মানুষের জন্য কাজ করেন এবং সবাইকে নেতৃত্ব দেন। এদের মধ্য থেকেই চোরের সর্দার ডাকাতের সর্দার থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার নেতৃত্ব পয়দা হয়। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা যদি সাকুল্যে ১৭ কোটি হয় তবে মাত্র ১৭ লাখ শিশু-কিশোর-যুবক-পৌঢ়-বৃদ্ধ বয়সী নারী ও পুরুষের নেতা হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে।

উল্লিখিত ১৭ লাখ লোকের মধ্যে মাত্র ১ ভাগ লোকের যোগ্যতা রয়েছে জাতীয়পর্যায়ে রাজনীতি করার অর্থাৎ মন্ত্রী-এমপি হওয়ার। এই হিসাবে এই দেশে মাত্র ১৭ হাজার মানুষ প্রকৃতিগতভাবে মন্ত্রী-এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এখন আপনি যদি ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী লোকদেরকে আলাদা করেন তবে পুরো দেশে সাকুল্যে হাজার তিনেকের বেশি লোককে পাবেন না যাদের মধ্যে প্রকৃতিপ্রদত্ত নেতৃত্বের যোগ্যতা রয়েছে। এবার আপনি লি কুয়ানের থিওরি এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকে যত মানুষ এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন তাদের একটি তালিকা করুন তাহলে দেখবেন কিভাবে সব কিছু মিলে গিয়েছে।

লি কুয়ান নেতৃত্ব নিয়ে থিওরি রচনা করেছেন- কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনো থিওরি দেননি। কারণ মানুষ যে দিন প্রথম রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করেছিল ঠিক তখন থেকেই রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে এবং গত প্রায় সাত হাজার বছরের ইতিহাসে ধারাবাহিকতায় রাজনীতির ছাত্রছাত্রীরা জেনে গেছেন যে, কারা রাজনীতি করেন- কারা সফল হন- কিভাবে হন ইত্যাদি। তারা আরো জেনে গেছেন যে, মানব আচরণের সর্বোচ্চ ধাপ হলো রাজনীতি। যিনি নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন এবং রাজা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেয়ার সব যোগ্যতা যার রয়েছে তারাই রাজনীতির ময়দানের নায়করূপে ইতিহাসে নাম লেখাতে পারেন। ফলে রাজনীতি করা এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য, ধর্মকর্মের প্রচারণা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অধ্যয়ন এবং বন-জঙ্গল-পাহাড়-পর্বতে গিয়ে ধ্যান করে মুনি ঋষি হওয়া এক জিনিস নয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনারা যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন যে, রাজনীতি ময়দানে সার্বক্ষণিক নেতাকর্মীদের মাত্র এক ভাগ শীর্ষ নেতৃত্বই কেবল মন্ত্রী-এমপির দৌড়ে অংশগ্রহণের হিম্মত রাখেন। অন্য দিকে যারা লেখাপড়া করে সিভিল সার্ভিস-মিলিটারি সার্ভিস, জুডিশিয়ারি থেকে শুরু করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-উকিল-মোক্তার-জজ ব্যারিস্টার প্রভৃতি পেশায় উন্নতি করতে গিয়ে একেবারে চূড়ায় পৌঁছেন তখন তাদের মধ্যে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ জাগে; কিন্তু সর্বোচ্চ ১ ভাগ পেশাজীবী তাদের পেশাগত জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পরও মন্ত্রী-এমপি হওয়ার দৌড়ে পরাজিত হন। অন্য দিকে যারা সফল হয়েছেন তাদের মধ্যে গত ৫০ বছরে দু-চারজনের বেশি পাওয়া যাবে না, যারা রাজনীতিতে সফলতা পেয়েছেন এবং জনগণ তাদেরকে মনে রেখেছে।

রাজনীতি এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা যেখানে পিতার হাতে পুত্র খুন হয়। পুত্র পিতাকে খুন করে। মা সন্তানকে মেরে ফেলে অথবা সন্তান মায়ের লাশ মাড়িয়ে সিংহাসনে বসে। রাজনীতিতে ভাই-বোন হত্যা ভাত-মাছের মতো এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বা শত্রু-মিত্রকে নির্বিচারে পিষে মারা নদীর জলের মতো তরল। এত সব ঝক্কি-ঝামেলা-দুর্নাম বদনাম-বিপদ-আপদ জানার পরও রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে এবং সাধারণ লোকজন হাজার হাজার বছর ধরে রাজনীতিবিদদেরকেই স্মরণ করে। আমরা যদি মধ্যযুগের সুবে বাংলার মহান শাসক-উত্তম বিচারক এবং প্রজাহিতৈষী বাদশাহের নাম স্মরণ করি তবে সবাই একবাক্যে যার নাম বলবেন তিনি হলেন সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ। আমরা হয়তো অনেকেই জানি যে, তিনি তার পিতাকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন; কিন্তু তারপরও তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা একটুও কমেনি এবং এটাই রাজনীতির সফলতা- রাজনীতির আকর্ষণ অথবা নান্দনিকতা।

সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহকে বাদ দিয়ে আমরা যদি সম্রাট জাহাঙ্গীরের জীবনী পর্যালোচনা করি তবে দেখতে পাবো যে, তিনি সর্বদা মদ্যপ অবস্থায় থাকতেন। তার হেরেমের আট হাজার নারীর সাথে তার যৌন সম্পর্ক ছাড়াও অন্য যেসব মন্দ দিকের কথা আমরা জানি, তার কোটি ভাগের এক ভাগও যদি অন্য কোনো শ্রেণিপেশার মানুষ করত তবে বিক্ষুব্ধ জনতা দায়ী ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারত- লাশের ছাইভস্ম সাগরে ফেলত এবং কিয়ামত পর্যন্ত লোকটিকে অভিসম্পাৎ দিত। কিন্তু সম্রাট জাহাঙ্গীরকে কেন এখনো পাক-ভারত উপমহাদেশের মানুষ ভালোবাসে- কেনো শ্রদ্ধা করে এবং কেন তার জন্য অন্তর থেকে দোয়া চলে আসে তা অনুধাবন না করতে পারাটা মানুষ হিসেবে নিজের প্রতি মস্তবড় এক জুলুম বলে বিবেচনা করা হয়।

রাজনীতি এবং নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পর্কে এতক্ষণ ধরে এত লম্বা কাহিনী বলার অর্থ হলো- আমাদের দেশের একজন এমপি সম্প্রতি জাতীয় সংসদে আক্ষেপ করে বলেছেন যে, দেশ আজ আমলা-নির্ভর হয়ে পড়েছে। সচিবালয়ে রাজনীতিবিদদের কোনো সম্মান নেই; সচিবরা এমপিদেরকে অসম্মান করেন এবং এদের পিয়ন চাপরাশিরা এমপিদেরকে করুণার চোখে দেখেন। অন্য দিকে তিনি যেটা বলেননি সেটি হলো, মফস্বল শহরের ডিসি-ওসিরা মনে করেন তারা এমপি-মন্ত্রীদের জন্মদাতা অভিভাবক। তাদের শাসনে সেখানে এমপিরা অনাগত দিনে ওসি-ডিসি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে আরম্ভ করেছেন এবং যারা একটু নিরিবিলি জীবনে অভ্যস্ত তারা ওসি-ডিসি হওয়ার পরিবর্তে সচিবালয়ের সচিবদের পিয়ন চাপরাশি হওয়ার স্বপ্ন দেখার কথা ভাবছেন এবং স্বপ্ন পূরণের জন্য দোয়াখায়ের-ঝাড়ফুঁক-তাবিজ-কবজ ইত্যাদি শুরু করে দিয়েছেন।

অভিযোগকারী এমপি মহোদয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পোড় খাওয়া সফল রাজনীতিবিদ এবং লড়াই-সংগ্রাম করে নেতৃত্বের কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে তার যাবতীয় গুণ মানুষের হাহাকারের আগুনে ছাইচাপা পড়েছে। এর ফলে তার বক্তব্যের উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাকে রাতের ভোটের ভুয়া এমপি ইত্যাদি হাবিজাবি বলে ‘ট্রল’ করা হচ্ছে এবং লোকজন এমনভাবে ঠাট্টা মশকারা করছে, যার দ্বারা মনে হচ্ছে এসব এমপিকে সচিবালয়ের পিয়নরা পাত্তা না দিয়ে বিরাট এক শুভকর্ম করে ফেলেছে অথবা সচিবরা তাদেরকে অসম্মান করে দৃষ্টান্তমূলক কাণ্ডকারখানা কেন ঘটাচ্ছেন না এটা নিয়েও লোকজন আক্ষেপ করছে। অনাগত দিনে মাঠে-পথে রাতের ভোটের এমপি-মন্ত্রীদের কী পরিণতি হবে তা নিয়েও সমালোচকরা যথেষ্ট রস ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

উল্লিখিত পরিস্থিতিতে আপনি সিঙ্গাপুরের জাতির জনক লি কুয়ানের থিওরি, রাজনীতির চিরন্তন বাস্তবতা এবং বাংলাদেশের চলমান সংসদের একজন সরকারদলীয় এমপির আক্ষেপকে যদি ত্রিমাত্রিকভাবে বিশ্লেষণ করেন তবে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, এখানে অযোগ্যরা নেতা হচ্ছেন বা যাদের মধ্যে প্রকৃতিপ্রদত্ত নেতৃত্বের গুণাবলি নেই এমনতর তরকারি প্রকৃতির লোকজনদের ধরে এনে নেতৃত্বের স্থানগুলোতে বসিয়ে দেয়া হচ্ছে। অথবা যাদের রাজনীতির বিষয়ে কোনোকালে আগ্রহ ছিল না অথবা রাজনীতির কোনো সহজাত গুণাবলি যারা ধারণ করেন না তাদেরকে রাজনীতির ঢাল বানিয়ে যখন মাঠেময়দানে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তখন সেসব লোকের অরাজনৈতিক ছংভং দেখে সাধারণ মানুষ পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়েই ঠাট্টা মশকারা করার সুযোগ পাচ্ছে।

আপনি যদি প্রশ্ন করেন- কেনো এমনটি হচ্ছে? তাহলে আমি বলবো যে, রাজনীতির অঙ্গনে কখনো কখনো অনিবার্য অনাসৃষ্টি ঘটে থাকে। বিশেষ করে উত্তরাধিকার রাজনীতির ছত্রছায়ায় বড় পদগুলোতে যদি অযোগ্য লোকজন বসে পড়ে বা আবেগের বশবর্তী হয়ে যোগ্যের স্থলে অযোগ্যকে বসানো হয় তবে রাজনীতির দুর্বিপাক অনিবার্য হয়ে পড়ে। এর বাইরে কোনো উঁচু পদের রাজনীতিবিদ যদি বিড়াল স্বভাবের সঙ্গী-সাথী পছন্দ করেন তবেও অনাসৃষ্টি অনিবার্য হয়ে পড়ে। অন্য দিকে অন্যান্য শ্রেণিপেশার মতো রাজনীতির মাঠে যদি সুসম প্রতিযোগিতা না থাকে তবে এই ময়দানে যে ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে নিতে একটি দেশকে বহু যুগ অপেক্ষা করতে হয়।

রাজনীতির জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা একান্ত অপরিহার্য। এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা যত বেশি হবে দেশ ও জাতি তত বেশি উপকৃত হবে। মার্কিন মুল্লুকের যে কয়েকজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদকে আমরা জানি তারা প্রায় সবাই প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা যখন বিপদে পড়েছেন তখন সবার আগে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বা রাজনৈতিক শত্রুরাই এগিয়ে এসেছেন। প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস এবং বিচারপতি মার্শালের দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত থেকে মার্কিন জাতি যতটা উপকৃত হয়েছেন তার সাথে অন্য কিছুর তুলনা হতে পারে না। একইভাবে ব্রিটিশ রাজনীতির দুই কিংবদন্তি উইলিয়াম গ্লাডস্টোন এবং বেঞ্জামিন ডিজরেইলির শত্রুতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য যা পেয়েছে তার দ্বিতীয় নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। অন্য দিকে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ভয় পায় এবং আততায়ী দ্বারা প্রতিদ্বন্দ্বীকে শারীরিক-মানসিক-রাজনৈতিকভাবে হত্যা করে এবং মনের সুখে বিলাই স্বভাবের সঙ্গী-সাথী নিয়ে বগল বাজায় তারা প্রায় সবাই দুর্যোগকালে নিজের পোষা বিলাই দ্বারা পরাজিত হয়েছেন বা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে কী ধরনের প্রতিযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালু রয়েছে তা আমরা যেমন সবাই জানি তেমনি কাউয়া-বিড়াল, ফার্মের মুরগি দ্বারা কোন কোন শূন্য পদ ভরাট করা হয়েছে তাও দিবালোকের মতো স্পষ্ট, যে অবস্থায় আলোচিত এমপি সাহেব কিছুটা হলেও আত্মমর্যাদার জন্য আকুতি করেছেন। কিন্তু তার স্থলে যদি বিড়াল স্বভাবের কেউ হতেন তবে বলতেন- ওহে অন্নদাতা, ওহে অন্নদাত্রী! এমপি-মন্ত্রী হতে চাই না। মোরে ওসি-ডিসি নতুবা মাননীয় সচিব মহোদয়ের পিয়ন বানিয়ে দিন আর অবসরে আপনার বাগানের মালি হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়ে জনম সার্থক করার সুযোগ দিন।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments