ট্রান্স ফ্যাট সেবনের কারণে বিশ্বের পাঁচ বিলিয়ন মানুষ এখন মারাত্মক হৃদরোগের ঝুঁকির সম্মুখীন। এ ছাড়া এ কারণে কয়েক বছরে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারিয়েছে। খাদ্যসামগ্রীতে কারখানায় তৈরি ট্রান্স ফ্যাটের বিপদ নিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ট্রান্স ফ্যাট হলো একধরনের অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। শিল্প কারখানায় প্রস্তুত করা ট্রান্স ফ্যাট অনেকটা স্লো পয়জোনিংয়ের মতো কাজ করে। ভেজিটেবল অয়েলে বিপজ্জনক ট্রান্স ফ্যাট থাকে। খাবারে ব্যবহৃত এই তেল হৃৎপিণ্ডের ধমনি বন্ধ করে দেয়। এটি প্রায়ই প্যাকেটজাত খাবার, যেমন চিপস; বেকড খাবার যেমন কুকিজ, কেক, ভোজ্য তেলসহ আরও অনেক কিছুতে ব্যবহৃত হয়।
ডব্লিউএইচও বলছে, ২০২৩ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব থেকে কারখানায় তৈরি এই ফ্যাটি অ্যাসিড নির্মূল করার জন্য ২০১৮ সালে একটি আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনেক দেশই তাতে সাড়া দেয়নি। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, ‘মিসর, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, যারা এ ধরনের নীতি তৈরি করেনি; বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি সেখানে অনেক বেশি।’
একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ট্রান্স ফ্যাট একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা মানুষকে হত্যা করে। এটি খাওয়া উচিত নয়। অনেক দেশের খাদ্য প্রস্তুতকারীরা এই ট্রান্স ফ্যাট ব্যবহার করে। কারণ এটি দীর্ঘ সময় টেকে ও সস্তা। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ট্রান্স ফ্যাটের প্রধান উৎস হাইড্রোজেনেটেড তেলের উৎপাদন বা ব্যবহারে বিশ^ব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত অথবা খাবারে মোট চর্বির ১০০ গ্রামে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ মাত্র দুই গ্রাম সীমাবদ্ধ করা উচিত।’ ট্রান্স ফ্যাটের কারণে হৃদরোগ এবং মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে এমন ১৬টি দেশের মধ্যে ৯টি এখনো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, ভুটান, ইকুয়েডর, মিসর, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক ফ্রান্সেস্কো ব্রাঙ্কা এই দেশগুলোকে ‘জরুরি পদক্ষেপ’