Thursday, April 18, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ

ভারত-পাকিস্তান বাকযুদ্ধ

ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। এতে জড়িয়ে পড়েছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসকে স্থায়ী করছে এবং আল কায়েদার মূলহোতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডন লিখেছে, বৃহস্পতিবার এর জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘গুজরাটের কসাই’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিলাওয়াল বলেন, আমি জয়শঙ্কর সাহেবকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, ওসামা বিন লাদেন এখন মৃত। কিন্তু গুজরাটের কসাই এখনও জীবিত এবং তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তিনি হলেন আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী, তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তাই।

এই আরএসএস উদ্বুদ্ধ হয়েছে হিটলারের এসএস থেকে। বিলাওয়াল ভুট্টো এ মন্তব্য করার পরপরই শুক্রবার ভারত সরকার একটি বিবৃতি দিয়েছে।

 তাতে বিলাওয়ালের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতকে কলঙ্কিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা নেই পাকিস্তানের। আলাদাভাবে বিজেপির উত্তেজিত কর্মীরা শনিবার নয়া দিল্লিতে পাকিস্তান হাই কমিশনমুখী মার্চ করেছে। বিজেপিকর্মীরা ভারতের অন্যান্য অংশে বিলাওয়ালবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। ভারত সরকারের বিবৃতির জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ বলেছেন, ভারত সরকার এখন ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার দায় থেকে বাঁচার জন্য আসল সত্য আড়াল করার চেষ্টা করছে। ওটা ছিল গণহত্যা, পিটিয়ে হত্যা, ধর্ষণ এবং লুন্ঠনের এক লজ্জাজনক ঘটনা। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো গুজরাট গণহত্যার মূলহোতারা বিচার থেকে রেহাই পেয়েছেন এবং এখন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখল করে আছেন। বেলুচ জোর দিয়ে বলেন, কোনো শব্দ ব্যবহার করেই ভারতে ‘স্যাফ্রোন সন্ত্রাসের’ অপরাধ আড়াল করা যাবে না। ক্ষমতাসীন দলের হিন্দুত্ববাদ, রাজনৈতিক আদর্শ ভারতে সৃষ্টি করেছে ঘৃণা, বিভাজন ও দায়মুক্তি।

তিনি আরও বলেন, ভারতে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে গভীরভাগে জড়িয়ে আছে দায়মুক্তির সংস্কৃতি। তিনি বলেন, দিল্লি-লাহোর সমঝোতা এক্সপ্রেসে হায়েনার হামলায় ভারতের মাটিতে ৪০ জন পাকিস্তানিকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হামলার মূলহোতা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই আরএসএস-বিজেপির অধীনে ন্যায়বিচারকেও হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারতজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সামনে দানবীয়করণে রাষ্ট্রীয় কর্মকতাদের মদত আছে। হিন্দুত্ববাদী আধিপত্যবাদদের ‘কাউ ভিজিল্যান্টিজম’ অর্থাৎ গরু নজরদারিকরণ, ধর্মীয় উপাসনার স্থানে ভাঙচুর এবং ধর্মীয় সমাবেশে হামলার প্রকাশ ঘটেছে।  

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments