ভারতের বেঙ্গালুরুতে তিন বছর আগে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা চালু করেছিল অ্যামাজন। তবে এবার সেই ব্যবসা বন্ধ করতে চলেছে কম্পানিটি। এ ছাড়াও অ্যামাজনের স্কুল লার্নিং প্ল্যাটফর্মটির পরিসরও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের আগস্টে প্ল্যাটফর্মটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অ্যামাজন।
এদিকে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা বন্ধ করা নিয়ে অ্যামাজন তাদের অংশীদার রেস্তোরাঁর উদ্দেশে বলেছে, ‘আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে অ্যামাজনের ফুড ডেলিভারি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে অ্যামাজন ফুডের মাধ্যমে গ্রাহকরা আর খাবারের অর্ডার পাবেন না। তবে ২৯ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত যথারীতি অর্ডার অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হবে। আশা করি, তত দিন পর্যন্ত অর্ডার অনুযায়ী রেস্তোরাঁগুলো খাবার সরবরাহ করবে। খাবারের বিনিময়ে প্রাপ্য টাকা পেতে রেস্তোরাঁগুলোর কোনো সমস্যা হবে না। ’
২০২০ সালে ভারতে অ্যামাজনের ফুড ডেলিভারি ব্যবসা শুরু হয়েছিল। তবে সেভাবে ব্যবসাটি ছড়িয়ে দিতে পারেনি অ্যামাজন। অ্যামাজনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা হঠকারিতায় এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা ধাপে ধাপে এই পরিষেবা বন্ধ করছি। যাতে আমাদের পার্টনার বা গ্রাহকরা সমস্যায় না পড়ে। ’
এদিকে কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোনো কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়নি। তবে অনেকেই স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়েছেন। কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে শ্রম কমিশনে হাজিরা দিতে হয় অ্যামাজন কর্মকর্তাকে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য শ্রম দপ্তরে একটি পিটিশন জমা দিয়েছিল ভারতের একটি আইটি ইউনিয়ন। তাদের অভিযোগ ছিল, অ্যামাজনে অনৈতিক এবং অবৈধ ছাঁটাই চলছে। তবে সে কথা মানতে নারাজ অ্যামাজন।
এদিকে কম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের সতর্ক করে জানান, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কম্পানিতে আরো ছাঁটাই হবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস