Friday, April 19, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAবৃদ্ধি পাচ্ছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ

বৃদ্ধি পাচ্ছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ

ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। মানবাধিকার পরিস্থিতি সহ নানা কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে এই উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে তা প্রকট রূপ নিয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখ- বলে দাবি করেছে চীন। প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহারের কথা বলেছে তারা। জবাবে তাইওয়ানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন অনেকদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছে তাইওয়ান সফরে আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তিনি এই সফরে এলে এর আগে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে চীন।

সর্বশেষ তারা এর জন্য পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছে। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ ও স্ট্রাইক গ্রুপ। এ বিষয়ে ৭ম ফ্লিট থেকে বলা হয়েছে, এটা তাদের আগে থেকেই শিডিউল করা অপারেশন। ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান একটি নিমিটজ শ্রেণির পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার ক্যারিয়ার। তা সিঙ্গাপুরে ৫ দিনের পোর্ট-কলের পর বিরোধপূর্ণ জলসীমায় প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার এই জাহাজ চ্যাঙ্গি নৌ ঘাঁটি থেকে ছেড়ে যায়। ব্লুমবার্গ নিউজ এ খবর দিয়েছে। তাদের অনুসন্ধানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম নৌবহর থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। 

এ সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, মিসেস পেলেসি তাইওয়ান সফরে আসতে পারেন। এ জন্য গুরুত্বর প্রস্তুতি নিচ্ছে বেইজিং। এরপরই মার্কিন ওই নৌবহর থেকে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাদের জাহাজ ২০১৯ সালের পর থেকে প্রথম এই সফরে যাচ্ছে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ৭ম নৌবহর। এই জাহাজের আগমনের আগেই দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা বিষয়ক অপারেশন চালানো হয়েছে। জাপানের ইয়োকোসুকা থেকে মে মাসে বার্ষিক টহল চালানো হয়েছে। জাপানভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের ৭ম নৌবহরে জনসংযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা কমান্ডার হেলে সিমস বলেছেন, ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ও তার স্ট্রাইক গ্রুপ তাদের পথে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের বন্দরে সফল পরিদর্শন শেষে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে অভিযানে আছে। অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক সমর্থনে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে রিগ্যান স্বাভাবিক শিডিউলে অভিযানে রয়েছে।

ওদিকে তাইওয়ানে সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সফরের প্রেক্ষিতে অসন্তুষ্ট চীন। তারা এই অসন্তোষ প্রকাশ করতে তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক কর্মকা- বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ব্লেক হারজিঙ্গার বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে এলে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সমুদ্র ও আকাশপথে টহল বাড়াতে পারে। এতে যেকোনো রকম ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি এটা বলছি না যে- ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে কেন্দ্র করে একটি যুদ্ধ শুরু করবে পিএলএ। আপনি যদি মনে করেন তাইওয়ানে অবিলম্বে আগ্রাসন শুরুর পরিকল্পনা করছে বেইজিং, আগামী সপ্তাহে তারা যুদ্ধ শুরু করবে। যদি তা-ই করে তাহলে তা হবে তাদের পরিকল্পনার জন্য আত্মহত্যা। 

এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তাতে দুই নেতা কি সিদ্ধান্ত নেবেন, তা পরিষ্কার নয়। গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের কাছে জো বাইডেন বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসির এই সফর শুভ হবে বলে মনে করে না যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। তিনি এই সফরে গেলে তাইওয়ানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিয়োদো নিউজ বলেছে, আগস্টের শুরুতে জাপানে সফর করতে চাইছেন ন্যান্সি পেলোসি। তা হবে ওই অঞ্চলে তার সফরের অংশ।   

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments