নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ভক্তদের উপচেপড়া ভিড় ছিল জম্মু-কাশ্মীরে মাতা বৈষ্ণদেবী মন্দিরে। এ সময় ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ জন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনলাইন এনডিটিভি এ খবর দিয়ে বলছে, প্রতি বছর নতুন বর্ষ বরণ করার সময় ওই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। এ বছর অন্যবারের চেয়ে তাদের সংখ্যা ছিল বেশি। কর্মকর্তারা বলছেন, সেখানে প্রবেশপথও ছিল সংকীর্ণ। ফলে অতিরিক্ত মানুষের চাপে সেখানে পদদলনের ঘটনা ঘটে।ব্যক্তিগতভাবে এ ঘটনা মনিটরিং করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং নিশ্চিত করেছেন যে, ১২ জন মারা গেছেন। উদ্ধার করা কমপক্ষে ১৪ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ত্রিকুলা পাহাড়ের ওপর ওই মন্দিরটির অবস্থান। এর বাইরে ঘটে এই ঘটনা। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষবরণের সময় ভক্তরা ওই মন্দিরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। কিন্তু শুক্রবার দিবাগত রাতে বৈষ্ণদেবী ভবনে অতিরিক্ত মানুষের ঢল নামে। বহু মানুষ অনুমোদন স্লিপ ছাড়াই ভবনের ভিতরে প্রবেশ করেন। এর ফলে পদদলিত হয়ে নারী, শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলেছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেছেন, মাতা বৈষ্ণদেবী ভবনে পদদলিত হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য গভীরভাবে বেদনাহত। তার অফিস থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, মৃত প্রতিজনের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড থেকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। অন্যদিকে আহতদের প্রতিজনকে দেয়া হবে ৫০ হাজার রুপি করে।
শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি লিখেছেন, মাতা বৈষ্ণ দেবী মন্দিরে পদদলিত হয়ে প্রাণহানীতে গভীরভাবে বেদনাহত। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি আমার শোক ও সমবেদনা। আহতদের জন্য প্রার্থনা। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। মৃত ব্যক্তিদের প্রতিজনের বিপরীতে তিনি ১০ লাখ রুপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আহত প্রতিজনকে দেবেন দুই লাখ রুপি করে। তিনি আরো বলেছেন, চিকিৎসার খরচ বহন করবে মন্দির কর্তৃপক্ষ।