গত বছর পারিবারিক আয়োজনে গীতিকার মহসিন মেহেদীকে বিয়ে করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। আর এ বছর জুনে তৃতীয় কন্যার মা হন এই শিল্পী। তৃতীয় সংসার শুরু করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের বেশ কটাক্ষের শিকার হয় এই শিল্পীকে। তবে এবার দ্বিতীয় বিয়ে কেনো ভেঙেছে এ বিষয়েও এবার জানালেন এ শিল্পী। শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন ন্যানসি। এ সময় পূর্বের সংসার ভাঙার কারণসহ বর্তমান সংসারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। লাইভের শুরুতেই ন্যানসি বলে- অনেক দিন ধরে এসব প্রশ্ন শুনছি। কিন্তু আমার স্বামী (মেহেদী) এসব পছন্দ করেন না।
তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত ও শিল্পীজীবন দুটো আলাদা। কিন্তু কিছু মানুষের এত বেশি আগ্রহ যে কিছু প্রশ্নের উত্তর না দিলেই নয়। ন্যানসি বলেন, আমার যিনি প্রাক্তন ছিলেন, যিনি আমার সন্তানের পিতা; তার প্রতি আমি যেমন শ্রদ্ধাশীল তিনিও আমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
কিন্তু জীবনে চলার পথে যখন আমাদের মনে হয়েছে কোথাও আমাদের ঘাটতি রয়েছে, তখন আমরা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আর এই সিদ্ধান্ত আমরা বুঝে শুনেই নিয়েছি। আমি বিয়ে করে সংসার করছি আর আমার প্রাক্তন একা জীবন যাপন করছেন-এমনটা অনেকে ভাবছেন! তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমার প্রাক্তনও সংসার করছেন, সুখে আছেন। যার সঙ্গে অনেক দিন প্রণয়ে ছিলেন, তাকে বিয়ে করেছেন। তারা ভালোবেসে ঘর বেঁধেছেন। গীতিকার মহসিন মেহেদীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ন্যানসি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মেহেদীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমার মনে হয়, ভালোবাসা ও প্রণয়ের মধ্যে কিছুটা তফাত রয়েছে। প্রণয়ের চেয়ে ভালোবাসার গভীরতা অনেক বেশি। মেহেদীর প্রতি আমার অনেক আস্থা। এই আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা থেকে আমরা একে অপরকে বিয়ে করি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের একটি কন্যা সন্তানও আছে। অনেকে মনে করে মেহেদীর চেয়ে বয়সে অনেক ছোট ন্যানসি। কিন্তু এ তথ্য উড়িয়ে দিয়ে ন্যানসি বলেন, মেহেদীর চেয়ে আমি ৯ বছরের ছোট। আমার মনে হয়, এতটুকু ছোটবড় হওয়াটা পারফেক্ট। এতে করে পথচলাটা মসৃণ হয়।
ন্যানসি বলেন, বর্তমান সংসারে আমি ভালো আছি, সুখে আছি। কিন্তু আমার সমস্যা হলো আমি অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। যার কারণে মানুষের মন্তব্য পড়ে কষ্ট পাই।
আমার জীবনে যে মানুষগুলোর কোনো অবদান নেই, যারা আমাকে চেনেনও না। কিন্তু ফেসবুকে টুক করে একটা মন্তব্য করে বসেন। তারা আসলে কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন? এসব কারণে আমি হতাশ হয়ে যেতাম। এসবের প্রভাব আমার ব্যক্তিগত ও সংসার জীবনে পড়তো। আমার মনে হয় এই সংকট কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।