কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন যে আমার বন্ধু ফরিদুর রেজা সাগরের মা—এ কথা জেনেছি সাগরের সঙ্গে পরিচয়ের দু-তিন বছর পর। রাবেয়া খাতুনের লেখা তো পড়ি ছেলেবেলা থেকেই। পরিচয় হলো আটাত্তর সালে। সাগরকেও চিনি কলেজজীবন থেকে। সাগর সিনেমার নায়ক হয়েছিল। দেখতে অত্যন্ত সুশ্রী। ছোটদের লেখা চমৎকার লেখেন। দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতাগুলোতে স্বাধীনতার আগ থেকেই তাঁর লেখা নিয়মিত ছাপা হতো। সাগরের সঙ্গে পরিচয় হলো তিয়াত্তর সাল বা চুয়াত্তর সালের দিকে। আমার প্রথম লেখা বেরিয়েছে তিয়াত্তর সালে। দৈনিক পূর্বদেশের ছোটদের পাতা ‘চাঁদের হাটে’। সেই বছরই শেষ দিকে, নাকি পরের বছরের শুরুর দিকে ‘চাঁদের হাটের’ একটি অনুষ্ঠান হয়েছিল পূর্বদেশ ভবনে। ‘চাঁদের হাঁট’ তখনো সংগঠন হিসেবে তৈরি হয়নি। পাতাটির সম্পাদক বা পরিচালক ছিলেন ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। তিনি বিটিভিতে নাটকও লিখতেন। বিখ্যাত মানুষ। ছোটদের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ‘চাঁদের হাটের’ লেখকদের ঘিরে তিনি একটি সাহিত্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। খবরটি জেনে আমিও গেছি। জগন্নাথে অনার্স পড়ছি। ‘চাঁদের হাটের’ অনুষ্ঠানে এসে আমার প্রিয় তরুণ ও ছোটদের লেখকদের অনেককেই পেয়ে গেলাম। হলরুমে ফরাশ পাতা হয়েছে। সামনের সারিতে বসে আছেন দাদুভাই। তাঁর পাশে বিখ্যাত তরুণ শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম। ছোটদের ও বড়দের লেখায় সমান পারদর্শী সিরাজুল ইসলাম। শিশুসাহিত্যিক সালেহ আহম্মেদ, ফিউরি খন্দকার, মুনা মালতি, ফরিদুর রেজা সাগর—এ রকম আরো কেউ কেউ। ছড়াকার আবদুর রহমান, গোলাম মাওলা শাহজাদা, এখন যিনি কবি হাসান হাফিজ নামে পরিচিত। আলীমুজ্জামান হারু, সাইফুল আলম, যাঁর ডাকনাম লিটন, যিনি এখন যুগান্তরের সম্পাদক। তাঁদের সঙ্গে লম্বা টিংটিংয়ে এক যুবক। মাথায় ঘন লম্বা চুল। ঢোলাঢালা কাপড়চোপড়ে একেবারেই অন্য রকম লাগছিল তাকে। সে কাগজ কেটে কেটে তখনো নানা রকম ডিজাইন করে হলরুমটি সাজানোর কাজ করে যাচ্ছে একাগ্রচিত্তে। এই যুবকটি পরবর্তীকালে বিটিভির সুপারস্টার আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে ঢুকেই আবদুর রহমানের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল। সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার নাম কী?’ নাম বললাম। শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসিমুখে বলল, ‘ও, বন্ধু।’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ মানেটা হলো চাঁদের হাটে আমার যে গল্পটি ছাপা হয়েছিল, সেই গল্পের নাম ‘বন্ধু’। তারপর রহমান আমার কাঁধে হাত রেখেছিল। ‘আসো, আসো।’
সেই যে রহমান আমার কাঁধে হাত রাখল, সেই হাতটি এখনো সরে যায়নি। রহমান এখন চ্যানেল আইয়ে। আমার অত্যন্ত প্রিয় বন্ধু। দেখা হলেই এখনো আমরা প্রথম যৌবনের সেই দিনগুলোর মতো পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে চলি।
সেই অনুষ্ঠানে গল্প, কবিতা পাঠ করল অনেকেই। আলী ইমাম যেমন লেখেন, তেমন সুন্দর কথা বলেন। চমৎকার একটি বক্তব্য দিলেন। তাঁর ডাকনাম হেলাল। পরিচয়ের পর থেকে যখন যেখানেই দেখা হয়েছে, আমি তাঁকে ‘হেলাল ভাই’ বলে ডেকেছি। কী যে ভালোবাসতেন আমাকে! কী যে পছন্দ করতেন আমার লেখা। আমাকে বলতেন ‘বাংলাবাজারের যুবরাজ’ বা কখনো বলতেন ‘সাহিত্যের যুবরাজ’। আহা! কত প্রিয় মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন!
তারপর ধীরে ধীরে সংগঠনে রূপ নিল ‘চাঁদের হাট’। আমরা সবাই যুক্ত হলাম সেখানে। প্রায় রাতারাতি বিশাল রূপ নিল ‘চাঁদের হাট’। সারা দেশে কত শাখা, কত বন্ধু! সংগঠনের কাজে বরিশাল যাচ্ছি, ময়মনসিংহ যাচ্ছি। কত মুগ্ধতা ‘চাঁদের হাট’ নিয়ে। জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধুদের পেয়েছি ‘চাঁদের হাটে’। ‘চাঁদের হাটের’ জন্যই সাগরের সঙ্গে বন্ধুত্ব।
আমি তখন উন্মাদের মতো লিখি। বড়দের লেখা, ছোটদের লেখা, গ্রামের গল্প। রফিক আজাদের শাগরেদ হয়েছি। বাংলা একাডেমির উত্তরাধিকার পত্রিকার সম্পাদক তিনি। ছিয়াত্তর সালে আমার প্রথম উপন্যাস ‘যাবজ্জীবন’ ধারাবাহিকভাবে তাঁর উত্তরাধিকারে ছাপলেন রফিক ভাই। আমার দিনরাতের অনেকটা সময় কেটে যায় তাঁর সঙ্গে।
আটাত্তর সালের মাঝামাঝি সময়ে ইত্তেফাক ভবন থেকে রোববার নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করার উদ্যোগ নিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাহেবের স্ত্রী সাজু হোসেন। পত্রিকা দেখভালের দায়িত্ব রাহাত খানের। তিনি রফিক আজাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রফিক আজাদকে দিলেন পত্রিকার দায়িত্ব। বাংলা একাডেমিতে চাকরি করার পরও বিকেলবেলায় এসে তিনি সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় কাজ করবেন। আমার বিখ্যাত শিল্পীবন্ধু কাজী হাসান হাবিব পত্রিকার গেটআপ, মেকআপ, প্রচ্ছদ আর ইলাস্ট্রেশন সব করবেন। হাবিবও সরকারি চাকরি করেন। সংবাদ সাহিত্য সাময়িকীতে পার্টটাইম কাজ করেন। আবার রোববারেও কাজ নিয়েছেন। রফিক ভাই আমাকে নিলেন জুনিয়র রিপোর্টার হিসেবে। বেতন ৪০০ টাকা।
তখন ইত্তেফাক ভবন থেকে পূর্বাণী নামে একটি সাপ্তাহিক সিনেমার পত্রিকা বের হতো। সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। অবজারভার ভবন থেকে বেরোত চিত্রালী। এই দুটি পত্রিকায় চলত বিরাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রোববারও প্রকাশের পর হয়ে উঠেছিল বিচিত্রার প্রতিদ্বন্দ্বী।
এই রোববার পত্রিকার কারণেই রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে পরিচয়। রিজিয়া রহমানের সঙ্গে পরিচয়। সেলিনা হোসেনকে তো আগে থেকেই চিনি। বাংলা একাডেমিতে আছেন। ছোটদের পত্রিকা ধান শালিকের দেশের সম্পাদক।
রাবেয়া খাতুনের বাসায় আমাকে নিয়ে গিয়েছিল কবি ইকবাল হাসান। ইকবাল কাজ করত পূর্বাণী পত্রিকায়। একই ভবনে অফিস। যখন-তখন রোববার অফিসে এসে ইকবাল আমাদের সঙ্গে আড্ডা দিত। অনেক লেখক-কবির সঙ্গে তার পরিচয়।
রাবেয়া খাতুনের কাছে গিয়েছিলাম রোববারের জন্য তাঁর গল্প চাইতে। ‘মালতীর বাবা’ নামে অসামান্য একটি গল্প লিখে দিলেন। প্রথম দিনই অনেকক্ষণ তাঁর সেই স্নিগ্ধ মায়াবী কণ্ঠে আমার সঙ্গে কথা বললেন। আমার দু-একটি লেখাও তিনি পড়েছেন। সেসব লেখার কথা বললেন। এত আপন করে নিলেন প্রথম দিনই, এতটা প্রশ্রয় দিলেন, আমি কল্পনাও করিনি এত বড় একজন লেখক একজন তরুণ লেখককে এতটা প্রশ্রয় দিতে পারেন। হঠাৎ হঠাৎ চলে যেতাম তাঁর বাসায়। তখন পকেটে পয়সা থাকে না। দুপুরে খাওয়া হয় না প্রায়ই। তার ওপর ধরেছি সিগ্রেট। সিগ্রেট খাওয়ার পয়সাও থাকে না। বন্ধুবান্ধবের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিই। এক দুপুরে ১০টা টাকাও নেই পকেটে। রিকশা নিয়ে গেছি রাবেয়া খাতুনের বাসায়। রিকশাওয়ালাকে বলেছি, তোমাকে নিয়েই ফিরে যাব। গেটের সামনেই বসে থাকো। রাবেয়া খাতুনকে গিয়ে বললাম, ‘আগে চা-নাশতা খাওয়ান, তারপর এক শটা টাকা ধার দেন।’ শুনে তিনি হতবাক। তখন তাঁর আর্থিক অবস্থাও ভালো না। লিখে সংসার চালানোর চেষ্টা করেন। ওদিকে শাইখ সিরাজকে নিয়ে স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে বাবার বন্ধ করে যাওয়া ঘড়ির দোকানটি খুলে সাগর রেস্টুরেন্ট করেছে। ‘খাবার দাবার ও পিঠাঘর’ নামে। ফাঁকে ফাঁকে বিটিভির জন্য স্ক্রিপ্ট লেখে। সব মিলিয়ে খুবই স্ট্রাগলের সময়। ওদিকে ‘খাবার দাবার’ হয়ে উঠেছে আমাদের বিভিন্ন সার্কেলের বন্ধুদের নিয়মিত আড্ডার জায়গা।
রাবেয়া খাতুন আমাকে চা-বিস্কুট খাওয়ালেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘এক শ টাকা দিয়ে কী করবে?’ আমি তখন উগ্র তরুণ লেখক। কথাবার্তার কোনো বাছবিচার নেই। বড়দের সঙ্গেও বেয়াদবের মতো আচরণ করি। বললাম, ‘সিগ্রেট ইত্যাদি খাব।’ শুনে তিনি হাসলেন। ‘সিগ্রেট তো বুঝলাম, ইত্যাদিটা কী? বুঝেছি, বুঝেছি। টাকাটা ফেরত দেবে কবে?’
সপ্তাহখানেক পরের কথা বলে সেই যে এক শ টাকা নিয়ে ভাগলাম, পনেরো দিনেও আর খবর নেই। রাবেয়া খাতুন রোববার অফিসে ফোন করে আমাকে খোঁজেন। অফিসে থেকেও পিয়নকে দিয়ে বলাই, আমি নেই। তিনিও নাছোড়বান্দা। প্রায়ই ফোন করেন। একদিন টাকাটা নিয়ে গেলাম। সেই টাকা হাতে নিয়ে হাসলেন। বললেন, ‘মাত্র এক শ টাকার জন্য তোমাকে আমি এত তাগিদ কেন দিয়েছি তুমি কি তা জানো? দিয়েছি একটাই কারণে, কাউকে কথা দিলে সে কথা অবশ্যই রাখতে শিখো। সারা জীবন কাজে লাগবে।’
রাবেয়া খাতুনের সেই কথা আমি মনে রেখেছি।
তারপর আমাদের জীবনের মোড় ঘুরে গেছে। সাগর ইমপ্রেস গ্রুপ করে চ্যানেল আই ও ইনসেপ্টার মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান করে যেমন সম্মাননীয় হয়েছে, তেমনি হয়েছে অর্থশালী। কিন্তু মা-ছেলে কেউ অতীতের দুঃখময় দিনের কথা ভুলে যায়নি।
সাগর একবার আমাদের কয়েকজনকে বগুড়ায় নিয়ে গেল। বগুড়া শহরে তাদের বাড়ি। সেই শহরে রোমেনা আফাজেরও বাড়ি। প্রয়াণের পর একটি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে তাঁর নামে। সাগরকে দেওয়া হয়েছে সেই পুরস্কার। আমি, আফজাল আরো কাউকে কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেছে সাগর। রাবেয়া খাতুনও আছেন। তিনি সাগরের মা—এ কথা জানার পর থেকেই আমি আর ‘রাবেয়া আপা’ বলে ডাকি না। ডাকি ‘খালাম্মা’। খালাম্মাও গেছেন আমাদের সঙ্গে। ফেরার সময় গাড়িতে এক পাশে আফজাল, আরেক পাশে আমি। খালাম্মা আছেন আমাদের মধ্যমণি হয়ে। তিনি গয়না পরতে ভালোবাসতেন। দামি শাড়ি পরতে ভালোবাসতেন। শরীর ভর্তি গয়না ছিল সেদিন তাঁর। আর অনেক দামি ভারি সুন্দর একটি শাড়ি। ওই শাড়ি-গয়না পরা সম্রাজ্ঞীর মতো মানুষটি সেদিন ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর ফেলে আসা জীবনে। দুঃখ-বেদনা আর দারিদ্র্য জর্জরিত জীবনে। সেসব কথা এত গুছিয়ে, এত সুন্দর করে বলছিলেন, শুনে আমার আর আফজালের চোখ ছলছল করছিল।
একবার কক্সবাজারে চ্যানেল আইয়ের বিশাল অনুষ্ঠান। সি-বিচে আয়োজন করা হয়েছে। রহমান আমীরুলরা আছে যথারীতি। সাচ্চু আছে। খালাম্মাও আছেন। আমি আর আফজালও গেছি। সবচেয়ে বড় সরকারি মোটেলটির প্রায় পুরোটাই আমাদের দখলে। এক রৌদ্র ঝলমল সকালে আমাকে আর আফজালকে নিয়ে মোটেলের সমুদ্রমুখী মাঠটিতে ধীরে ধীরে হাঁটতে লাগলেন খালাম্মা। এক হাতে আমার হাত ধরেছেন, অন্য হাতে ধরেছেন আফজালের হাত। আফজাল কথায় কথায় বলল, ‘আপনাকে আর মিলনকে নিয়ে আমি একটা বিজ্ঞাপন তৈরি করব। দুজন অসমবয়সী লেখক বন্ধুর গল্প।’ শুনে তিনি উচ্ছ্বসিত। ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই করো আফজাল।’ আমি তো সেই শুরু থেকেই তাঁর সঙ্গে ঠাট্টার সুরে কথা বলি। আপা থেকে খালাম্মা হওয়ার পরও। সেই মুহূর্তে ঠাট্টার সুরেই বললাম, আর আমি একটি লেখা লিখব। সেই লেখার নাম হবে, ‘আমার বন্ধু রাবেয়া খাতুন’। শুনে তিনি তাঁর সেই স্নিগ্ধ হাসিটি হাসলেন। ‘তুমি তো লিখতেই পারো। লেখকরা তো পরস্পরের বন্ধুই হয়। বয়স সেখানে কোনো সমস্যা নয়।’
কতটা আধুনিকমনস্ক হলে একজন অনুজ লেখককে এ রকম কথা বলা সম্ভব। সেই লেখা আমার আর লেখা হয়নি। কতদিনকার কত স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। কত পেছনে ফেলে আসা ঘটনা। কত আনন্দের দিন। এই লেখায় তাঁর কিছুই লিখতে পারলাম না। অতি প্রিয়জনকে নিয়ে লেখা খুবই সমস্যার। কী রেখে কী লিখব বুঝে ওঠা মুশকিল।
রাবেয়া খাতুনের মতো লেখকের আসলে মৃত্যু নেই। তিনি শারীরিকভাবে আমাদের মধ্যে নেই, এটা সত্য। কিন্তু তাঁর কাজ তো রয়ে গেছে। তাঁর লেখাগুলো তো রয়ে গেছে আমাদের বইয়ের আলমারিজুড়ে। ‘মধুমতী’র মতো উপন্যাস রেখে গেছেন তিনি। রেখে গেছেন ‘বায়ান্ন গলির এক গলি’। পুরান ঢাকার সরদারদের নিয়ে লেখা অসামান্য এক উপন্যাস। এসব উপন্যাস বহুকাল বাঁচিয়ে রাখবে তাঁকে।
‘আমার বন্ধু রাবেয়া খাতুন’ যে অনন্তলোকে আপনি চলে গেছেন, পরম করুণাময় সেই জগতে আপনাকে নিশ্চয়ই অতি আদরে আর আনন্দে রাখবেন। আমাদের স্মৃতি উজ্জ্বল করে আপনি থাকবেন আজীবন। কোনো কোনো মানুষের স্মৃতি কখনো অনুজ্জ্বল হয় না। আপনি সেই স্তরের মানুষ।