Friday, April 19, 2024
spot_img
Homeধর্মপ্রিয় নবীর শাফায়াত লাভের দুটি আমল

প্রিয় নবীর শাফায়াত লাভের দুটি আমল

কিয়ামতের ময়দানে মানুষ সুপারিশের জন্য বিভিন্ন নবীর কাছে যাবে, তাঁরা একে অন্যের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। কেউ তখন সুপারিশ করতে সম্মত হবেন না। সে সময় মহানবী (সা.) সুপারিশ করবেন। নিম্নে প্রিয় নবী (সা.)-এর শাফায়াত লাভের দুটি আমল নিয়ে আলোচনা করা হলো—

আজান শেষে দোয়া পড়া : প্রিয় নবী (সা.)-এর সুপারিশ লাভের  গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে, আজান শেষে হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা।

সাহাবি জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে এই দোয়া করে, উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াব আছহু মাক্বামাম মাহমুদা নিল্লাজি ওয়াআদতাহ। ’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ, এ পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাজের মালিক, মুহাম্মাদ (সা.)-কে অসিলা ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী করুন এবং তাঁকে সে মাকামে মাহমুদে পোঁছে দিন, যার অঙ্গীকার আপনি করেছেন। ’ [রাসুল (সা.) বলেন] কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার শাফাআত লাভের অধিকারী হবে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৪)

বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া

একবার আল্লাহর রাসুল তাঁর খাদেমকে বলেন, আমার কাছে কি তোমার কিছু চাওয়ার আছে? তখন খাদেম বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমার একমাত্র চাওয়া হচ্ছে আপনি কিয়ামতের দিন আমার জন্য সুপারিশ করবেন! তখন নবীজি (সা.) বলেন, আমি কি তোমাকে বলে দেব কিভাবে তুমি আমার সুপারিশ লাভ করতে পারবে? জবাবে বলেন, জি, হে আল্লাহর রাসুল, সে সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন, নবীজি (সা.) বলেন, বেশি বেশি নামাজ পড়ো। এর মাধ্যমে কিয়ামতের দিন তুমি আমার সুপারিশ লাভ করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৬০৭৬; মুসলিম, হাদিস : ২০৮৭)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে প্রিয় নবীর শাফায়াত লাভ করে ধন্য হওয়ার তাওফিক দান করুন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments