সন্ধ্যার প্রায় শেষের দিকে হঠাৎ পাণিহাটি ইসকন মন্দির সংলগ্ন কলুঘাট চত্বরে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
যদিও এলাকার কিছু বাসিন্দা বলছেন ব্যক্তি ইসকনেরই সাধু কিন্তু কোনোও অজানা কারণ বসত স্মৃতি ভ্রংশ হয়ে গিয়েই হয়তো ইসকনের বাকী ‘সাধু’রা তাঁকে আর চিনতে পারছেন না।
কেন এ প্রসঙ্গ তোলা হচ্ছে তা মনেকরি আর ভেঙে বলার দরকার নেই। এই কলুঘাটই সেই কলুঘাট যা দখল করার জন্য পাণিহাটি ইসকন তার ভিত্তি স্থাপনার পর থেকেই মুখিয়ে আছে। এখন এই ঘটনা ইসকনের বাইরের জগৎকে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে।
১) মন্দিরের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর ইসকনের দৃশ্য এবং অদৃশ্য সন্ত্রাস সম্পর্কে মোটামুটি সকলেই অবগত। সাধুপনার নামে ভেতরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারও অজ্ঞাত নয়। এলাকাবাসীর কথা মতো ইনি যদি ইসকনেরই সাধু হয়ে থাকেন এবং এই মৃত্যু যদি আত্মহত্যাই হয়ে থাকে তবে তার পেছনে এই মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার কারণ হিসেবে নেই?
২) ইসকনের কথা মতো যদি ধরি ইনি ইসকনের কেউ হন না তবে আর একটা প্রশ্ন উঠে আসে। যে কলুঘাটে ঢোকার গেট অধিকাংশ সময়েই তালা মারা থাকে তা আজ কোন আনন্দে খোলা ছিল? খোলা ছিলই ধরে নিচ্ছি নাহলে গেট বন্ধ থাকলে এবং ব্যক্তি বাইরের কেউ হলে ওনার যা বয়স তাতে অত রাতে ওভাবে উনি ভেতরে ঢুকতে পারেন না।
৩) এই প্রশ্নটা খুব কমন, এটা আত্মহত্যা না অন্য কিছু…
এই ব্যাপারটা জনগণ ভেবে দেখবে। প্রসঙ্গত বলে রাখি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ফলে ফরেনসিক বিজ্ঞান অনুযায়ী যে যে চিহ্ন মৃতদেহে থাকার কথা তা কিন্তু আপাতভাবে স্পষ্ট ছিল না।
এখন প্রসঙ্গ হল, এই ঘটনা যদি কেউ বা একদল ‘কেউ’ বা কোনো ‘প্রতিষ্ঠান’ যদি ইচ্ছা করেই ঘটিয়ে থাকে, তবে তার কারণ অজানা নয়। সেটা হল কলুঘাট প্রাঙ্গণে ঢোকার থেকে জনগণকে বিরত রাখা এবং ত্রস্ত রাখা।
এই যদি কারণ হয়ে থাকে তবে সকল এলাকাবাসী এবং সুবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের উচিত এই মুহূর্তে এই কুখ্যাত, বৈদেশিক এজেন্সির বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং এদের এলাকাছাড়া করা।
যাদের ট্যাগ করলাম তারা মোটামুটি প্রত্যেকেই বিভিন্ন আন্দোলন অথবা সংগঠনের সাথে যুক্ত। আপনাদের সবার কাছে আবেদন আপনারা মতামত দিন এবং এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি গড়ে তোলার বিষয়ে পরামর্শ দিন।