Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকপাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলো চীন

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলো চীন

পাকিস্তানসহ অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙুল তুললো চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ তোলেন। মাও নিং নামের ওই মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট উন্নত দেশের কারণে’ পাকিস্তানসহ বিপুল সংখ্যক উন্নয়নশীল দেশকে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

খবরে বলা হয়, রাজধানী বেইজিং-এর ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রেস সেন্টারে’ নিয়মিত ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মাও নিং। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পাকিস্তানসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন বাণিজ্যিক ঋণদাতা এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য প্রধান ঋণদাতা। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের জন্য তিনি সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান। 

চীনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন এবং পাকিস্তান যে কোনো পরিস্থিতিতে কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার এবং পরীক্ষিত বন্ধু। দুই পক্ষই একে অপরকে সমর্থন করেছে। চীন সবসময় পাকিস্তানের সাথে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে। পাকিস্তানকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে, তার জীবিকা উন্নত করতে এবং  উন্নয়ন নিশ্চিতে পাশে থাকবে চীন। 

ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি বলেন, চীনের অবস্থান বরাবরই উদ্দেশ্যমূলক ও ন্যায্য।

আমরা শান্তির জন্য আলোচনার পক্ষে। ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য কাজ করতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সবসময় শান্তি ও সংলাপের পক্ষে দৃঢ় আছি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেন সংকটের জন্য দায়ী করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে সংঘাত আরও বিস্তৃত করছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানায়। তাইওয়ান ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে এবং চীনের তাইওয়ান অঞ্চলে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করছে। তারা বলছে যে তাদের শান্তির আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, তবুও তারা বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ চালিয়েছে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা জরুরি অথচ তারাই একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments