নোবেল শান্তি পুরস্কারের মঞ্চে একই সঙ্গে জায়গা করে নিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়েছে এই দুই দেশের মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থাকে। সেই সঙ্গে বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিয়াৎস্কিকেও এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন ভারতের মহম্মদ জুবেইর ও প্রতীক সিনহা। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
নোবেল কমিটির তরফ থেকে শুক্রবার শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের ‘দ্য সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস’কে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছে রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল। একই সঙ্গে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিয়ালিয়াৎস্কিকে।
পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, “এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তারা।”
নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন ‘অল্টনিউজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইর। ওই ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটের আরেক প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক প্রতীক সিনহাও। চূড়ান্ত দাবিদারের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন জুবেইর। পদ্ধতিগতভাবে ভুয়ো খবর রুখে দেয়া, ভুয়া তথ্য পরিবেশন বন্ধে সচেষ্ট হওয়া এবং ঘৃণাভাষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার পুরস্কার হিসাবে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি তারা। তবে এই তালিকায় জায়গা করে নেয়ার ফলে তাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করতে ভয় পাবে প্রশাসন, এমনটাই মনে করেন অল্টনিউজ এর দুই প্রতিষ্ঠাতা। সূত্র: রয়টার্স।