বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে আরও দু’টি ব্লক পাওয়া গেছে। তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গতকাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, গত শনিবার ম্যাডামের হার্টের এনজিওগ্রাম করার পর তিনটি ব্লক পাওয়া যায়। একটি ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫ শতাংশ ব্লক ছিল। এ কারণে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এনজিওগ্রামে ওখানে সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে। বাকি দু’টি ব্লকের বিষয়ে তার শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ, তার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিজ আছে, এক্ষেত্রে যেসব ওষুধ ইউজ করতে হয়, তাতে কিডনির ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সেজন্য আরও দু’টি ব্লক অপসারণের কাজটি বাকি রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ম্যাডাম শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, ডাক্তারদের বক্তব্য হলো- ৭২ ঘণ্টা না গেলে কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না।
সেজন্য তারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়লে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার দুপুরে হৃৎপিণ্ডে একটি ব্লক অপসারণ করে সেখানে রিং বসানো হয়। ডা. জাহিদ বলেন, রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।
টাইম টু টাইম বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখছেন। ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে ডাক্তাররা রোগীর কাছে অ্যালাউ করছেন না। আমরা নিজেরাও সেখানে বেশি যাতায়াত করছি না। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।