Thursday, March 28, 2024
spot_img
Homeকমিউনিটি সংবাদ USAনিউইয়র্কে জেবিবিএ’র নির্বাচন ৯ জানুয়ারি রোববার: নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ; মুখোমুখি...

নিউইয়র্কে জেবিবিএ’র নির্বাচন ৯ জানুয়ারি রোববার: নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ; মুখোমুখি গিয়াস-টুকু পরিষদ

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন অব এনওয়াই’ (জেবিবিএ)র নির্বাচন ৯ জানুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে এদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনে একটানা মেশিনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৪২১ ভোটারের এ নির্বাচনে ১৫ আসনে সরাসরি লড়ছেন দুই প্যানেলের ৩০ প্রার্থী। এক প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন গিয়াস আহমেদ এবং তারেক হাসান খান। অপর প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহবুবুর রহমান টুকু এবং মুনির হোসেন।
জেবিবিএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ এ বার ভূইয়া জানিয়েছেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
জেবিবিএ’র প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্যানেলের দুই সভাপতি প্রার্থীই জ্যাকসন হাইটসকে গার্বেজমুক্ত, পার্কিং ঝামেলা মুক্ত, নিজস্ব ক্লিনার এবং সিকিউরিটি মোতায়েন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। করেছেন নানা অঙ্গিকার। জেবিবিএর স্থায়ী একটি অফিসের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তারা।
‘গিয়াস-তারেক’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মূলধারার রাজনীতিক এবং বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ বলেন, ৭৩ ও ৭৪ স্ট্রিটসহ আশপাশে গার্বেজ ক্যান নেই। বিভিন্ন স্থানে গার্বেজ স্তূপ হয়ে থাকে। গার্বেজমুক্ত করতে জেবিবিএর পোশাকসহ অন্তত: একজন ক্লিনার নিয়োগ করবো। সপ্তাহে অন্তত: একদিন ক্যান অপসারণের ব্যবস্থা নেবো। জেবিবিএর পোশাকে অন্তত: দু’জন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করবো। নিউইয়র্ক পুলিশের সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে তারা কাজ করতে পারবেন এমন পদক্ষেপ নেব। জেবিবিএ’র সদস্যদের গ্রেফতারের আগে অবশ্যই জেবিবিএকে ইনফরম করতে হবে। অহেতুক কাউকে হয়রানি/হেনস্তা করতে দেব না।
সভাপতি প্রার্থী গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা বিজয়ী হলে জেবিবিএর জন্য স্থায়ী একটি অফিস নেব। কংগ্রেসম্যান, স্টেট এবং সিটি প্রশাসনের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ককে জেবিবিএর স্বার্থে কাজে লাগাবো। জেবিবিএর মত সংগঠনের জন্যে ফেডারেল, স্টেট ও সিটিতে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, আমি জয়ী হলে সে অর্থ এনে জেবিবিএকে শক্তিশালী একটি সংস্থায় পরিণত করতে প্রচেষ্টা চালাব। গিয়াস আহমেদ আরো বললেন, জেবিবিএর কোন সদস্য মারা গেলে মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ হাজার ডলার প্রদান করা হবে। এরপর মরহুমের পরিবারের প্রয়োজন হলে অর্থ সহায়তার স্থায়ী একটি ব্যবস্থা করবো।
‘টুকু-মুনির’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইতিপূর্বে জেবিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারি মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, তার প্যানেল নির্বাচিত হলে জেবিবিএ সহ ব্যবসায়ী-কমিউনিটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। তিনি ঐক্যবদ্ধ ব্যবসায়ী, কমিউনিটি, বাংলাদেশ ও আমেরিকার মূলধারায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি দীর্ঘ্যদিন ধরে কাজ করছেন, নির্বাচিত হলে সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান টুকু আরো বলেন, দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটি ততই বড় হচ্ছে, সমৃদ্ধ হচ্ছে। আশপাশের স্টেট থেকেও অনেক ক্রেতা আসছেন জ্যাকসন হাইটসে পছন্দের পণ্য-সামগ্রী ক্রয়ের জন্যে। বিরাটসংখ্যক ক্রেতা প্রতিনিয়ত পার্কিং সমস্যায় পড়েন। এটি বহুদিনের সমস্যা। নির্বাচিত হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। ফ্রি পার্কিং এবং সর্বোচ্চ দু’ঘণ্টার স্থলে ৫ ঘণ্টার পার্কিং মিটারের ব্যবস্থা করবো।
সভাপতি প্রার্থী মাহবুবুর রহমান টুকু বলেন, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকল্পে স্থানীয় পুলিশ প্রিসেঙ্কটে যোগাযোগ রয়েছে। নতুন দায়িত্ব পেলে আরো জোরদার করবো সেই যোগাযোগ। টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা এ এলাকা নিরাপদ রাখতে সাধ্যমত চেষ্টা করবো। কোন ক্রেতাই যেন নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন মানুষ। নিরাপত্তা বিধানে জেবিবিএর নিজস্ব সিকিউরিটি টিম গঠন করা হবে, যারা টহল পুলিশের সমন্বয়ে অতন্দ্র প্রহরির ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মুখস্থ সড়কে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ হয়ে পড়ে। এহেন নাজুক অবস্থার অবসানে ক্লিন-সিটির পরিপূরক এলাকায় পরিণত করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা সাধারণের বহু পুরনো একটি দাবি রয়েছে জ্যাকসন হাইটসে একটি বড় মসজিদ নির্মাণের। বিজয়ী হতে পারলে জেবিবিএর স্থায়ী একটি অফিস সহ বড় একটি মসজিদের ব্যবস্থা করবো অগ্রাধিকারভিত্তিতে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘গিয়াস-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সহ সভাপতি মোল্লা এম এ মাসুদ, সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জিলানী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারেক এইচ খান, সহ সাধারণ

সম্পাদক এমডি মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল ইসলাম জাকির, কোষাধক্ষ এস এম আবুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক এমডি জি রহমান (আকাশ রহমান), সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাফর উল্লাহ মিলন, প্রচার সম্পাদক বেলাল আহমদ এবং কর্যকরী সদস্য রকি আলিয়ান, ডা. বর্ণালী হাসান এমডি, খালেদ আকতার, আব্দুল আলিম এবং এস কিউ আলম।
অপরদিকে, জেবিবিএ’র ‘টুকু -মুনি’র প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন: সভাপতি এমডি মাহবুবুর রহমান টুকু, সহ সভাপতি সুলতান আহমেদ ও মোহাম্মদ সোলায়মান আলী, সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক এমডি এল

ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি দেলওয়ার হোসেইন, কোষাধ্যক্ষ এমডি এস হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রাম কে সাহা (অপু), প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিন ভূঁইয়া, কালচারাল সম্পাদক শেখ এইচ আলী এবং নির্বাহী সদস্য শামীম মনির, নজরুল ইসলাম মিয়া, জহিরুল ইসলাম জয়, মাসুদ আহমেদ এবং আব্দুল হাই প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জেবিবিএ’র নির্বাচন কমিশনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ এ বার

ভূইয়া। তার সাথে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন জাফর মিতা, আবুহেলেন হোসেন ও বেলায়েত হোসেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলাউদ্দিন ভুলু ব্যক্তিগত কারণে বাংলাদেশে অবস্থান করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ এ বার ভূইয়া।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments