Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeধর্মনাইট্রিক এসিড আবিষ্কারে মুসলমানদের অবদান

নাইট্রিক এসিড আবিষ্কারে মুসলমানদের অবদান

পৃথিবীব্যাপী বহুল ব্যবহৃত একটি খনিজ এসিড নাইট্রিক এসিড, যা একুয়া ফর্টিস এবং স্পিরিট অব নাইটার নামেও পরিচিত। এটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা অর্জনে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে সারকারখানা থেকে শুরু করে বিস্ফোরক পদার্থ প্রস্তুতিতে। খনি থেকে মূল্যবান ধাতু উত্তোলনে, সোনা আহরণে, রকেট জ্বালানিতে, বৈদ্যুতিক সেল তৈরিতে ও সেলুলয়েড, কৃত্রিম রং, কৃত্রিম সিল্ক প্রস্তুতিতেও এর ব্যবহার রয়েছে।

এমনকি সোনার গয়না তৈরিকারী শিল্পীদেরও সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করতে হয়।

সোনাকে খাদমুক্ত করতে তাকে পোড়ানো হয় নাইট্রিক এসিড দিয়ে। আর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় সালফিউরিক এসিড। সোনা খাঁটি করার জন্য নাইট্রিক এসিড অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতা অর্জনে ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় এই এসিড তৈরি করেছেন একজন মুসলিম বিজ্ঞানী, যাকে রসায়ন বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

রসায়ন বিজ্ঞানের জনক জাবির বিন হাইয়ান তাঁর কিতাবুল ইসতিতমাম গ্রন্থে নাইট্রিক এসিডের প্রস্তুতপ্রণালী লিপিবদ্ধ করেন। যতদূর জানা যায়, তিনিই আবিষ্কারক। তিনি এর রাসায়নিক গুণাবলি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। যেভাবে তিনি এর রাসায়নিক গুণাবলি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। যেভাবে তিনি এটি প্রস্তুত করেন, বিজ্ঞানের ইতিহাসের দিক থেকেই তা শুধু অমূল্য নয়; বরং এর বৈজ্ঞানিক মর্যাদা ও মূল্যও কোনোক্রমেই অল্প নয়। (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মুসলমানদের অবদান : ৩৬৫, ইনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটেনিকা)

ভূগর্ভের খনিজ উত্তোলন থেকে শুরু করে দূর আকাশে দাপিয়ে বেড়ানো রকেটের সফলতার পেছনে এই মহাবিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। এভাবে এক সময় মুসলমানদের হাত ধরে বিজ্ঞানের স্বর্ণযুগে পদার্পণ করেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments