Saturday, April 20, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকটেমস নদীর পর এবার নাব্যতা হারাচ্ছে জার্মানির রাইন

টেমস নদীর পর এবার নাব্যতা হারাচ্ছে জার্মানির রাইন

ইউরোপ জুড়েই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশ ভয়াবহ হয়েই দেখা দিচ্ছে। তীব্র উষ্ণতা, দাবানলের পর এবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে ইউরোপের নদীগুলোতে। ইংল্যান্ডের টেমসের পর এবার নাব্যতা সংকটে পড়েছে জার্মানির রাইন নদী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইনে নাব্যতা সংকট তৈরি হওয়ায় নদীটিতে নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে। ফলে দেশটির সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর ফলে দেশটি সংকট থাকা অর্থনীতি আরও সংকটে পতিত হতে পারে।
গত শুক্রবার জার্মান কর্মকর্তারা সিএনএন নিউজকে জানিয়েছেন, বেশ কিছু জায়গায় নদীর পানি ভয়াবহভাবে কমে যাওয়ায় সেসব স্থান দিয়ে জাহাজ চলাচল অসম্ভব হয়ে হয়ে গেছে। এর ফলে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু অঞ্চলে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জার্মান কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জার্মানিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নদীর নাব্যতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে, জাহাজগুলোকে আগের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম মালামাল নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
চলতি বছরের জুলাই মাসেই জার্মানির ফেডারেল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোলজি সতর্ক করে বলেছিল, ফ্রাঙ্কফুর্টের পশ্চিমে অবস্থিত কাউব গেজে (পানির উচ্চতা পরিমাপক পয়েন্ট) পানির প্রবাহ এরই মধ্যে বছরের এই সময়ের গড় উচ্চতার মাত্র ৪৫ শতাংশে নেমে গিয়েছে। যা জাহাজ চলাচলে ‘নিয়মিত বাধা’ তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে- ২০১৮ সালেও এমন অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় জার্মান অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি প্রায় দশমিক ২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তাদের ধারণা, এবারও সেই আগের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি সংকটে থাকা জার্মান অর্থনীতিকে আরও সংকুচিত করে আনতে পারে।
এদিকে, ব্রিটেনের নদীগুলোর উৎসমুখে পানি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। কিছু কিছু নদীর উৎসমুখ এরই মধ্যে শুকিয়ে ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। এরই ফলাফল হিসেবে দেশটিতে খরার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পানিসংকটের কারণে নাগরিকদের পানির ব্যবহার কামানোর নির্দেশ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ব্রিটেনের অন্যতম প্রধান নদী টেমসের উৎসমুখ এরই মধ্যে অনেকটা শুকিয়ে গেছে, যার ফলে নদীটির অববাহিকায় অবস্থিত অঞ্চলগুলোতে খরা দেখা দিতে পারে। এখনো নির্দিষ্টভাবে কিছু না জানালেও ব্রিটিশ আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় খরার সতর্কতা জারি করা হবে। ১৯৩৫ সালের পর দেশটিতে এই প্রথম কোনো খরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সূত্র : সিএনএন

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments