Tuesday, April 16, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকচলে গেলেন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ

চলে গেলেন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ

৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য তিনি পশ্চিমা বিশ্বে প্রশংসিত হলেও, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্য তার সংস্কার কর্মসূচীকে দায়ী করে থাকেন ইতিহাসবিদরা। ১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিশ্বের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অনেকগুলা সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন। মূলত এরপর থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভাঙ্গন শুরু হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যুতে তার প্রতি সারা বিশ্ব থেকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি ইতিহাসের গতিপথ বদলে গিয়েছিলেন। মিখাইল গর্বাচেভ ব্যতিক্রমী একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ব একজন নেতা হারালো যিনি শান্তির জন্য একজন অক্লান্ত সমর্থক ছিলেন। 

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

তাকে প্রায়ই হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছিল। গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, কিডনির জটিলতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

১৯৮৫ সালে সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন মিখাইল গর্বাচেভ, যখন তার বয়স ৫৪ বছর। সেই সময় তিনি ছিলেন ক্ষমতাসীন কাউন্সিল পলিটব্যুরোর সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। তার পূর্বসূরি কনস্তান্তিন চেরনেঙ্কো মাত্র এক বছর দায়িত্বে থাকার পর ৭৩ বছর বয়সে মারা গেলে বয়স্কদের ভিড়ে তিনি দায়িত্ব পান।

তার মূল নীতি গাসনস্তের (উন্মুক্ত হওয়া) ফলে সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক অঞ্চলে জাতীয়তাবাদী চিন্তার উদ্ভব ঘটে। আর এর ফলশ্রুতিতে ইউনিয়নের পতন ঘটে। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি করেছিলেন। পশ্চিমা দেশগুলো তাকে একজন সংস্কারক হিসাবে দেখে, যিনি স্নায়ু যুদ্ধে অবসান করার পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন আনায় ১৯৯০ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

কিন্তু ১৯৯১ সালে যে নতুন রাশিয়ার জন্ম হয়, সেখানে রাজনীতিক হিসাবে তার তেমন ভূমিকা ছিল না। তিনি বরং শিক্ষা এবং মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি একবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাত্র ০.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। রাশিয়ার তাস বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, তাকে মস্কোর নভোদেভিচি কবরস্থানে তার স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হবে, যেখানে অনেক নামী রাশিয়ানের কবর রয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments