ইরানের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ডলারের প্রভাবকে পাশ কাটাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে প্রথমবারের মতো পণ্য আমদানির অর্ডার দিয়েছে ইরান। ডলারের হিসাবে অর্ডার করা পণ্যের দাম এক কোটি। তবে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে পণ্য কেনা হচ্ছে, তা জানা যায়নি।
ইরানের শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার আরো বাড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তেল, আর্থিক লেনদেন এবং জাহাজে করে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে তারা বাধার সম্মুখীন হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং করে ইরান নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এড়িয়ে শতকোটি ডলার আয় করতে পারে। বৈশ্বিক অর্থ ব্যবস্থা ডলারের দামের ওপর নির্ভরশীল। ইরানের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধার করতে সহয়তা করতে পারে। গত বছর এক জরিপে দেখা যায়, ইরানে বিটকয়েন মাইনিংয়ের হার ৪.৫ শতাংশ। দেশটিতে বিদ্যুতের দাম কম থাকায় ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিংয়ের হার বেশি। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোর দাম স্থির থাকে না, খুব দ্রুত বাড়ে বা কমে। তাই বড় অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে। সূত্র : রয়টার্স