Friday, March 29, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিককি ঘটবে বরিস জনসনের ভাগ্যে!

কি ঘটবে বরিস জনসনের ভাগ্যে!

 কয়েক দিনের মধ্যে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা কেউ জানেন না। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্লাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানগুলোতে তিনি যোগ দিয়েছেন বা দিচ্ছেন। সেন্ট পলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার একাংশ তাকে দুয়ো ধ্বনি দিয়েছেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছেÑ এর কারণ, করোনা মহামারিকালে পার্টিগেট কেলেঙ্কারি। তিনি দেশবাসীকে বিধিনিষেধে আটকে রেখে নিজে পার্টি আয়োজন করেছিলেন। এ জন্য এরই মধ্যে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। জরিমানা গুনেছেন। তিনি যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, তখন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের অনেক এমপি তার বিরুদ্ধে কৌশল আঁটছেন। বলা হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে ক্ষমতায় থাকা নিয়ে লড়াইয়ে লিপ্ত হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে এমনটা হলে, সোমবার যখন পার্লামেন্ট বসছে তখন সব দৃষ্টি থাকবে স্যার গ্রাহাম ব্রাডির দিকে। তিনি ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান। বৃটেনে কনজার্ভেটিভ প্রাইভেট মেম্বারস কমিটি নামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি পরিচিত। এটি হলো বৃটেনের হাউজ অব কমন্সে কনজার্ভেটিভ পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপ। এই গ্রুপের শতকরা ১৫ ভাগ অর্থাৎ যদি ৫৪ জন এমপি চেয়ারম্যানের বরাবরে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আস্থাভোট আহ্বান করে চিঠি লেখেন বা ইমেইল পাঠান, তাহলে আস্থা ভোট হয়। 
এখন পর্যন্ত এমন চিঠি বা ইমেইল কতজন এমপি লিখেছেন তা শুধু স্যার গ্রাহামই জানেন। এ নিয়ে কোন পূর্বাভাসই করা যায় না। ফলে আগাসী কয়েকদিনের মধ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে কেউই জানেন না। কিন্তু এই সপ্তাহান্তে কনজার্ভেটিভ এমপিদের সঙ্গে কথা বলার পর অনেক বিদ্রোহী মনে করছেন তারা কয়েক দিনের মধ্যে একটি অবস্থানে পৌঁছাবেন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর একজন সমালোচক বলেছেন, আশা করছি এ বিষয়টি ঘটবে আগামী সপ্তাহেই। সহকর্মীদেরকে একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। চূড়ান্তভাবে তাদেরকে মন ঠিক করতে হবে। আরও অনেক এমপি একই রকম সেন্টিমেন্ট দেখিয়েছেন। 
সরকারের মধ্যেও অনেকে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কয়েক দিনের মধ্যে দুর্ঘটনাক্রমে একটি আস্থাভোট হতে পারে। এটা শুধু দলের বিদ্রোহী সদস্যরাই নয়, একই সঙ্গে এমপিদের মধ্যে হতাশ একটি গ্রুপ আছেন, তারা অনাস্থার জন্য চিঠি দিতে পারেন। 
পার্লামেন্ট ছুটির দিনে একই সঙ্গে সু গ্রে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সে অনুযায়ী দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে এটা বলার মতো এমপির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে আবার অনেকে ক্ষুব্ধ। একজন এমপি বলেন, আমি জানি এমন কিছু এমপি আছেন, যারা প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেন না। তবে তারা চিঠি লিখেছেন। এ সপ্তাহে এ নিয়ে একটি আস্থা ভোট হওয়ার জন্য তা কি যথেষ্ট? আমি জানি না। 
পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ মন্ত্রীদের মধ্যে একজন বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। যদি ভোট হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বাধা অনেক বড়। কারণ তা হতে হলে কনজার্ভেটিভ দলের ১৮০ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। 
বিদ্রোহী একজন এমপি বিবিসির কাছে স্বীকার করেছেন যে, এ সপ্তাহে আস্থাভোট হলে তাতে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রীরই বেশি। তাই বলে কনজার্ভেটিভ দলের এমপিরা তাদের হাত গুটিয়ে আর বসে থাকতে পারেন না। আবার অন্যরা মনে করেন, যদি উত্তম সম্ভাবনা এ সপ্তাহে সৃষ্টি না হয় তাহলে বিদ্রোহীরা এ মাসের শেষের দিকে সেই সুযোগ নিতে পারেন। দুটি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেই দুটি আসন ওয়েকফিল্ড এবং টিভারটন ও হনিটনে কনজার্ভেটিভদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদি এই দুটি আসনে কনজার্ভেটিভ পরাজিত হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ বাড়বে। এমপিরা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আর নির্বাচনে জয়ের ধারায় নেই। তিনি তাদেরকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবেন না।   

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments